দুঃখ দিলে সরে যেতে পারি’, মুখ্যমন্ত্রীর গলায় অভিমানের সুর

‘আমাকে দুঃখ দিলে অভিমানে সরে যেতে পারি’à§·

রাজ্যজুড়ে এত উন্নয়নের পরেও যেভাবে তাঁকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তাতে বেশ অভিমানী মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই অভিমান প্রকাশ্যেও চলে এসেছে৷ বুধবার গোপালনগরের জনসভায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এভাবেই ফুটে উঠেছে আবেগতাড়িত সুর৷

কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তিনি এদিন বলেছেন, “কেন্দ্রের কাছে বকেয়া ৮৫ হাজার কোটি টাকা। রাজ্যের হাতে টাকা নেই। তা সত্ত্বেও একের পর এক কাজ করে চলেছি। à§® বছরে এমন কাজের নজির পৃথিবীর আর কোথাও দেখাতে পারবেন না৷” মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, অর্থের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সামাজিক প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। মমতা বলেন, “বন্ধু, কন্যাশ্রীতে কত টাকা লাগছে? হিসেব আছে? হিসেব করবেন? ৭০ লক্ষ মেয়েদের স্কলারশিপ দিই। আড়াই কোটি সংখ্যালঘু স্কলারশিপ পায়। ৭০ লক্ষ তপশিলি-আদিবাসী পায় স্কলারশিপ। ৭২ লক্ষ কৃষক পরিবার সাহায্য পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পেনশন পায়।” মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন,”টাকাগুলো আসবে কোথা থেকে? বাসের ভাড়া বাড়বে না। বিদ্যুতের দাম বাড়বে না। খাবারের দাম বাড়বে না। সরকারকে কোনও ট্যাক্স দিতে হবে না। বিনা পয়সায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, পড়াশুনো, জুতো, টেস্টপেপার, ছোটদের পোশাক, বিনা পয়সায় মিড ডে মিল, আইসিডিএস। টাকাটা আসবে কোথা থেকে?

আর এরপরেই অভিমানের সুরে তৃণমূল নেত্রী বলেন, “যতটুকু সম্ভব এখান থেকে ওখান থেকে, যতটা পারি চেষ্টা করছি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলে যাচ্ছি, এই কাজ আমার জায়গায় একজন করতে পারলে একদিনের মধ্যে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেব। একজনও যদি করে দেখাতে পারে! কাজেই সব কিছু করুন আমাকে দুঃখ দেবেন না। আমাকে দুঃখ দিলে আমি অভিমানের সঙ্গে সরে যেতে পারি। মনে হতে পারে, আমার থাকাই উচিত নয়, এরা তো চায়ই না। à§® বছরে যা করেছি পৃথিবীর আর কোথাও দেখাতে পারবেন না। ১০ কোটির মধ্যে সাড়ে ৯ কোটি লোক সুবিধা পেয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাকে দুঃখ দেওয়া হচ্ছে”à§·

আরও পড়ুন- কৈলাস বিজয়বর্গীয় টুইটে অপপ্রচার চালাচ্ছেন, দাবি গৌতম দেবের