শুধু লাফালাফি করবে, কৈলাসের মতুয়া ঠাকুরবাড়ি যাত্রাকে কটাক্ষ ফিরহাদের

বনগাঁয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার কয়েক ঘন্টার মধ্যেইআজ, শনিবার হঠাৎ ঠাকুরনগরে মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে হাজির বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা এ রাজ্যের দলীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে তিনি বৈঠক করেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর-সহ ঠাকুর পরিবারের একাংশের সঙ্গে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকা শান্তনুর মান ভাঙাতেই ঠাকুর বাড়িতে গিয়েছিলেন কৈলাস। কেন্দ্রের মোদি সরকারের মন্ত্রিসভায় শান্তনু ঠাকুরকে অন্তর্ভুক্ত করার বার্তা নিয়েই এ দিন কৈলাসের ঠাকুরনগর অভিযান।

অন্যদিকে, কৈলাস জানিয়েছেন, সৌজন্য সাক্ষাতেই গিয়েছিলেন তিনি একইসঙ্গে তাঁর দাবি ছিল, “মতুয়ারা বিজেপির থেকে যা পেয়েছেন, তাঁরা অন্য কোথাও যাবেন না”।

যদিও কৈলাসের ঠাকুরবাড়ি সফরকে পাত্তাই দিতে চাইলেন না রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ফিরহাদের কথায়, “মতুয়াদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক চিরকালই ভালো। মতুয়াদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক কিছুই করেছেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়, ঘাট তৈরির পাশাপাশি বড়মার জন্যও অনেক কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই দু’দিনের জন্য সেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীয় এসে কিছুই করতে পারবেন না। যা করবেন তা শুধু লাফালাফি এবং তা নিয়ে নানা মিডিয়াতেও দেখানো হবে।”

মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সমর্থন তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে। সেটা তৃণমূল নেত্রীর বনগাঁর জনসভায় ফের একবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করে ফিরহাদ বলেন, “এলাম, দেখলাম আর জয় করলাম, বিষয়টি মোটেও এমনটা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বরাবরের জন্যই মতুয়া সংগঠনের সম্পর্ক ভালো এবং আগামী দিনেও তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে।”

এদিন ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা এবং তা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সক্রিয়তা প্রসঙ্গ উঠলে। রাজ্যপালকেও একহাত নেন ফিরহাদ। কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, “রাজ্যপাল অননুমোদিত। রাজ্যপাল নির্বাচিত হয়েছেন অমিত শাহের সৌজন্যে। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল সরকারকে বাংলার মানুষের নির্বাচিত করেছে। তাই রাজ্যপাল কী বললেন, তাতে কিছু যায়-আসে না। বাংলার মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেল, ছিলেন এবং থাকবেন”।

সম্প্রতি রাজ্যের পুরভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ দিয়েছে। করোনাকালে নির্ধারিত সময়ে হয়নি পুরভোট। প্রশাসক বসানো হয়েছে বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে। সম্প্রতি একটি মামলায় রাজ্যে পুরভোট কবে সম্ভব, সে ব্যাপারে রাজ্যের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম জানান, পুরভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই মুহূর্তে কোনও বৈঠক নেই বা স্টেট ইলেকশন কমিটির বৈঠকও নেই। তবে সুপ্রিম কোর্ট একটি নোটিশ পাঠিয়েছিল। সে বিষয়ে রাজ্য অবহিত রয়েছে।

আরও পড়ুন- ৩ আইপিএসকে রিপোর্ট করতে বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রাজ্যের অসম্মতি

 

Previous article৩ আইপিএসকে রিপোর্ট করতে বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, রাজ্যের অসম্মতি
Next articleদু’টি কিডনিই বিকল হওয়ার সম্ভাবনা, লালুর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ চিকিৎসকের