বাংলার মানুষ পরিবর্তন চাইছে: ফের তৃণমূলের কড়া সমালোচনা দিলীপের

প্রয়োজনে মানুষ ডাক্তার পাবে না, পুলিশের সাহায্য পাবে না এরকম সরকার কেউ চায়নি। মানুষ চেয়েছিল একটা পরিবর্তন। দীর্ঘদিনের বাম সরকারের অপশাসন। কিন্তু রাজ্যে তৃণমূলের যা করেছে তাতে মানুষের হয়রানি বরং বেড়েছে। সুবিধা কিছুই হয়নি। মঙ্গলবার সকালে মালদহে চায় পে চর্চায় আরও একবার তৃণমূল (Trinamool Congress) সরকারের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

তবে এদিন অদ্ভুতভাবে তৃণমূলের মালদহের কার্যকরী সভাপতি তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা বাবলা সরকারের (Babla Sarkar) অনুগামী অনন্ত চক্রবর্তী আচমকাই দিলীপ ঘোষের সামনে বিজেপিতে যোগদান করেন। এমনকী যোগদান করেন তৃণমূলের আরেক চিকিৎসক সংগঠনের নামকরা ডাক্তার দেবাশীষ সরকার। তা নিয়ে জেলা জুড়ে রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের জেলার কো-অর্ডিনেটর তথা ইংরেজবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য বাবলা সরকারের ঘনিষ্ঠ অনন্ত চক্রবর্তী বিজেপিতে (BJP) যোগদান নিয়ে নানান রকম চর্চা শুরু হয়েছে। এরপরে বাবলা কি এই পথেই এগোতে পারেন? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে মালদহ শহরের সিঙ্গাতলা এলাকায় ‘চায় পে চর্চা’ রীতিমতো ছোট মঞ্চ করেই দিলীপ ঘোষকে বক্তব্য রাখার জন্যই অনুরোধ জানান দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন দলের জেলা সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল (Govinda Mondal), প্রাক্তন সভাপতি অধীর কর্মকার-সহ অন্যান্যরা।

এদিন ‘চায় পে চর্চা’য় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “প্রকৃতির নিয়মে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেমনটা এ রাজ্যে হয়েছিল। ৩৪ বছরের বাম সরকারের অপশাসনকে ছুঁড়ে ফেলেছিল রাজ্যের মানুষ। তখন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandyopadhyay)। এতে দিদিমণির কোন কারিশমা নেই। যা কারিশমা ছিল রাজ্যের মানুষের। ভালো কিছুর আশায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন । কিন্তু রাজ্যের তৃণমূল আসার পর কোনও সুযোগ-সুবিধা সাধারণ মানুষ পায়নি। পেয়েছে শুধু এক শ্রেণীর পেটুয়ারা।”

বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলে বেরিয়েছেন এত লক্ষ লোককে চাকরি দিয়েছি। কিন্তু এর জবাব মানুষই দেবে। কেউ বলতে পারবে তৃণমূল সরকার কত জনকে চাকরি দিয়েছে? কে কি সুবিধা পেয়েছে? সবটা ভাওতাবাজি ছাড়া আর কিছুই না। যদি বেকার ছেলে মেয়েরা চাকরি পেয়ে থাকে সেটা গুজরাটে পেয়েছে। দিল্লি ,মহারাষ্ট্র, হরিয়ানাতে পেয়েছে। বাংলায় পায়নি। কাজেই এবার আর তৃণমূলের পালে হাওয়া নেই। সবকিছুরই পরিবর্তন নিয়মের সঙ্গে যেমন হয়, সেভাবেই এবারও বাংলাতেও পরিবর্তন অবধারিত। মানুষ এই বাংলার তৃণমূলের অপশাসনকে সরিয়ে দিয়ে এখন পরিবর্তন চাইছে।”

আরও পড়ুন-এত উন্নয়নের পরেও উত্তরবঙ্গে কেন আমাদের ভোট নেই? অপরাধ কী : মমতা

Previous articleমাদক মামলায় ফের সমন অভিনেতা অর্জুন রামপালকে
Next articleশাহ বা নাড্ডা নন, শুভেন্দু’র হাতে গেরুয়া পতাকা দেবেন দিলীপ বা মুকুল, নয়া জল্পনা