যেখানে শুভেন্দুর সভা, সেখান থেকেই শুরু সুজাতার

পদার্থবিদ্যায় স্যার আইজ্যাক নিউটনের একটি সূত্র খুব বিখ্যাত। “প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে”! সম্প্রতি রাজ্য রাজনীতিতে চমকপ্রদ দলবদল পর্বের পর তেমনটাই যেন প্রতিফলিত হচ্ছে। এখন রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত দুটি নাম। শুভেন্দু অধিকারী ও সুজাতা মন্ডল খাঁ। প্রথমজন ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এবং দ্বিতীয় জন হঠাৎ চমক দিয়ে গেরিয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

অমিত শাহের (Amit Sah) হাত ধরে সদ্য বিজেপিতে (BJP)
যোগ দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম জনসভা করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী(Subhendu Adhikary)
পূর্ব বর্ধমানের (East Bardawan) কালনার (Kalna) পূর্বস্থলীতে (Purbasthali) সেই জনসভা থেকে তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা শীর্ষ নেতৃত্বকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন শুভেন্দু।

আর শুভেন্দুকে জবাব দিতে সেই পূর্বস্থলীর সেই একই জায়গায় ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এবার পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল। যে সভার মূল আকর্ষণ সুজাতা মন্ডল খাঁ। অর্থাৎ যেখানে শুভেন্দুর সভা সেখান থেকেই শুরু করছেন সুজাতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বিজেপির মহিলা ব্রিগেডের সবচেয়ে লড়াকু নেত্রী ছিলেন এই সুজাতা। ফলে তাঁর তৃণমূলে যোগদানের পর ঘাসফুল সমর্থকদের মধ্যেও একটা আলাদা উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। সুজাতাকে সামনে থেকে দেখার জন্য, তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মানুষ।

রাজ্যের মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath) জানিয়েছেন, ২৪ তারিখ, বৃহস্পতিবার, তৃণমূলের সভা হবে। এবং সেই সভায় আকর্ষণের কেন্দ্রে বিজেপি থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া সুজাতা মণ্ডল খাঁ (Sujata Mandal Khan)। যিনি বিষ্ণুপুরের (Bishnupur) বিজেপি সাংসদ (MP) সৌমিত্র খাঁয়ের (Sumitra Khan) স্ত্রী। এছাড়াও এই সভায় হাজির থাকবেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুনাল ঘোষ (Kunal Ghosh),
তৃণমূলের নতুন প্রজন্মের সুবক্তা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debanshu Bhattacharjee) প্রমূখ। শুভেন্দুর পাল্টা সভাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই পূর্বস্থলীতে তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে যথেষ্ট উন্মাদনা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলে যোগ দিয়েই সুজাতা জানিয়ে ছিলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banarjee) নেতৃত্বেই এবার থেকে কাজ করবেন তিনি। বিজেপি যোগ্য লোককে সম্মান দেয় না। সুযোগ সন্ধানীরা ক্ষমতা পাচ্ছে। আর যাঁরা মাঠে নেমে লড়াই করে তাঁরাই বঞ্চিত।

এখানেই শেষ নয়। সুজাতাদেবী সুর চড়িয়ে বলেছিলেন, যে দলের হয়ে তিনি লড়াই করেছিলেন, সেই দলে এখন পচা আলুরা যোগ দিচ্ছে। কোন সাবান মেখে চোর সাধু হয়ে যায়, সেই সাবান বা ওষুধ খুঁজে পাইনি। অথচ যাঁরা রক্ত দিয়েছে, তাঁরা বঞ্চিত। শুভেন্দু অধিকারীর নাম করেই তাকে কটাক্ষ করেছিলেন সুজাতা। এখন দেখার পূর্বস্থলীতে শুভেন্দুর পাল্টা সভায় কতটা আক্রমনাত্মক হন সুজাতা।

 

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শহরের ৮টি রুটে আজ থেকে বন্ধ বেসরকারি বাস পরিষেবা