মমতাকে চিন্তায় ফেলে বঙ্গ নির্বাচনে প্রার্থী দেবেন তেজস্বী

বিহার নির্বাচনে(Bihar election) ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে উঠে এসেছে তেজস্বী যাদবের(Tejaswi Yadav) নেতৃত্বাধীন আরজেডি(RJD)। নিজ রাজ্যে সাফল্যের পর আসন্ন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে(West Bengal assembly election) মহাজোটের পক্ষে সওয়াল করলেন লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। লালু পুত্রের এহেন ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে আসতেই বঙ্গ রাজনীতিকে নতুন হওয়া লাগতে শুরু করেছে। বঙ্গে তেজস্বী আগমনে তৃণমূলের লাভ হবে না কি সমস্যা বাড়বে সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তেজস্বী যাদব বলেন, ‘বিহারে যেমন আমাদের সিপিআই(এম) ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কার্যকর্তাদের সঙ্গেও আমাদের কর্মীদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে জোট করে লড়তে চাই। বাংলার মানুষও নিশ্চয় এখানে জোটকে সমর্থন করবেন।’ স্বাভাবিকভাবেই তেজস্বী এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। বঙ্গে নির্বাচনে লড়তে হলে তেজস্বী কাছে রয়েছে দুটি বিকল্প প্রথমত বাম কংগ্রেস জোট এবং দ্বিতীয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) তৃণমূল(TMC)। এবারের নির্বাচনে বাংলায় আসাদউদ্দিন ওয়েসি আগমনে মুসলিম ভোট কাটার আশঙ্কায় নিশ্চিতভাবেই চাপে রয়েছে তৃণমূল। অবশ্য বিহারী হিন্দি ভাষীদের ভোটও একটা বড় ফ্যাক্টর। সেখানে জোটবদ্ধ লড়াইয়ে তেজস্বীর আগমন সুবিধা করে দিতে পারে তৃণমূলের। রাজনৈতিক মহলের দাবি, আর যদি বাংলায় প্রার্থী দিলে বিজেপির ভোট কাটার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে তৃণমূলেরই লাভ হবে।

আরও পড়ুন:অধিকারী পরিবারই সব! বক্তব্যে কী ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু?

অবশ্য বঙ্গ নির্বাচনে আরজেডির লড়াই এই প্রথমবার নয়। ২০০০ সাল থেকে বাংলার দুটি আসনে নির্বাচন লড়ছে লালুর দল এক, বড়বাজার (‌জোড়াসাঁকো)‌। দুই, খড়গপুর। ২০০৬ সালে বড়বাজার আসনটি জিতেওছিল আরজেডি। এদিকে এনডিএ জোটে থাকা বিহারে নীতীশের দল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ৭৫ টি আসনে প্রার্থী দিতে চলেছে বলে খবর। পিছিয়ে নেই ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা এবারের নির্বাচনে তারা ৩০ টি আসনে প্রার্থী দেবে বলে জানা গিয়েছে।

Previous articleবেহুলা নদী সংস্কারের কাজ শুরু, বরাদ্দ হল ৮৮ লক্ষ টাকা
Next articleআইসিএ’র প্রতিনিধি হলেন প্রজ্ঞান ওঝা