রাজনীতিতে আসা পাকা, বেহালা পশ্চিম থেকেই প্রার্থী হতে চলেছেন সৌরভ!

অভিজিৎ ঘোষ

বাংলার রাজনীতিতে বিগ ব্রেকিং (Big Breaking)।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Saurav Ganguly) বিধানসভা ভোটে (assembly election) প্রার্থী হওয়া কার্যত এখন সময়ের অপেক্ষা। বেহালা পশ্চিম (Behala paschim) কেন্দ্রে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। যে এলাকার বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) । সৌরভের ঘনিষ্ঠ মহলের বক্তব্য, দাদা তৈরি হচ্ছেন, মতামত নিচ্ছেন, আত্মবিশ্বাসী তাঁর নতুন ভেঞ্চারে।

সৌরভ রাজনীতিতে নামছেন, এটা বাংলায় বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন।

প্রথম আওয়াজটা প্রবল হয়, যখন দাদার জন্মদিনে স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় (Dona Ganguly) বলেছিলেন, দাদা রাজনীতিতে এলেও সফল হবেন।

তারপর কোনওরকম সম্ভাবনা না থাকা সত্ত্বেও বোর্ডের মসনদে বসেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক, সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পুত্র (Joy Shah)। কীভাবে মিরাকেল হলো? প্রশ্নগুলো সহজ, উত্তরও তো জানা।

তারপর কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ফেলেন কন্যা সানা (Sana Ganguly)। বাবা সৌরভ সেই পোস্ট ডিলিট করে বলেন, ও এখনও ম্যাচিওর নয়। বুঝতে পারেনি। সত্যি সানা সেদিন বুঝতে পারেনি বাবার আসল লক্ষ্য।

বিগত অক্টোবরে বিজেপির সাধ হলো দুর্গাপুজো করা। সল্টলেকের সেই পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্টার পারফর্মার ডোনা।

এরপরেই ক্রিকেট অ্যাকাডেমির জন্য সল্টলেকের জমি ( Salt lake cricket Academy plot) ফেরত দিলেন সৌরভ। মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করে বলে এলেন, অ্যাকাডেমি করছি না। তাই ফেরত দিচ্ছি।

আরও পড়ুন : তৃণমূল ত্যাগের পর মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রথমবার শুভেন্দু, করবেন পদযাত্রা

আসলে যার হস্তক্ষেপে রাতারাতি সিএবির প্রেসিডেন্ট (CAB, President) হয়েছিলেন, তার সঙ্গে বা তার দলের সঙ্গে নিজেকে ডিস-অ্যাসোসিয়েট করার কাজ নিভৃতে করছিলেন।

সোমবার দিল্লি উড়ে গেলেন ফিরোজ শাহ কোটলার (Feroz Shah Kotla) মাঠে অরুণ জেটলির মূর্তি (Statue of Arun Jaitly) উদ্বোধন করতে। পাশে ছিলেন অমিত শাহ, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বললেন, সৌরভরা থাকবে বলেই এসেছি। অর্থাৎ শাহ বা বিজেপি সৌরভের সঙ্গে বিজেপির ট্যাগ লাইন তৈরির রসদ দিয়ে চলেছেন। রাস্তা তৈরি হচ্ছে, যথার্থ অভিষেকের জন্য।

প্রশ্ন হচ্ছে, সৌরভ কী ভোটে নামবেন? নাকি ভোটের পর মুখ্যমন্ত্রী হবেন? বিজেপি তরফে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, বিজেপি যদি জিতে যায় সৌরভকে ছাড়াই, তাহলে তাঁকে কেন আবাহন করে আনা হবে? সৌরভকে সক্রিয় রাজনীতিতে নামতে হবে। ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হতে হবে। অর্থাৎ এড়িয়ে গিয়ে নয়, ময়দানে নেমে ভোটে জিতে দলকে লিড করতে হবে।

আর এই কারণেই বেহালা পশ্চিম (Behala Paschim), সৌরভের নিজের পাড়া, এলাকা নিশ্চিতভাবে তাঁর কেন্দ্র হতে চলেছে। বিজেপি তাঁকে প্রোজেক্ট করেই সারা বাংলায় হাওয়া তুলতে বদ্ধপরিকর।

সৌরভ কী ভাবছেন? ইতিমধ্যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) তাঁকে বলেছেন, তৈয়ার রহো, ওয়াক্ত আ গিয়া… তিনি ঘনিষ্ঠজনের কাছে মতামত নিচ্ছেন। সেই মহলেরই বক্তব্য, দাদা বলছেন…আমি পারব, করে দেখাব। চরম আত্মবিশ্বাসী। যেমন আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বেটিং বিধ্বস্ত ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব গ্রহন করার সময়।

অপেক্ষা শুধু এখন নির্বাচন ঘোষণার। অবশ্য তার আগেই অভিষেকপর্ব হয়ে যাবে, খবর গেরুয়া মহলের।

প্রশ্ন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikari)কী করবেন?

Previous articleসারদা তদন্তে রাজীবকে সহযোগিতা করতে বলেছে রাজ্য, জানালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়
Next article২৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবারের বাজার দর