সাম্প্রদায়িকতা রুখতে বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষ দলের ঐক্য চান অমর্ত্য

সরাসরি না বললেও ধর্ম নিরপেক্ষতা রক্ষার ক্ষেত্রে, সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলায় সিপিএম(CPIM) কংগ্রেসের(Congress) মতো দলগুলির দায় যে কোনও অংশেই কম নয় এদিন তা স্মরণ করিয়ে দিলেন নোবেলজয়ী(Nobel winner) অর্থনীতিবিদ(Economist) অমর্ত্য সেন(Amartya Sen)। জানিয়ে দিলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলি তাদের নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে চলতেই পারে কিন্তু সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতার প্রশ্নে বিভিন্ন অবস্থান নেওয়া দরকার।’ তাঁর কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গে যাতে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া না দিতে পারে, তা নিশ্চিত করতে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) চেয়ে কোনও অংশে কম নয় বাম ও কংগ্রেসের মতো ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির ভূমিকা।’

সম্প্রতি এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি ইমেইল সাক্ষাৎকারে ৮৭ বছর বয়সী প্রবীণ অর্থনীতিবীদ মুখ খুলেছেন নানা বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘বাংলার ধর্মনিরপেক্ষতা এবং অসাম্প্রদায়িক চরিত্র রক্ষা করতে না পারলে আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারব না।’ শুধু তাই নয় প্রবীণ এই অর্থনীতিবিদের গভীর আস্থা রয়েছে বাংলার মানুষের প্রতি। তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বর্জন করবে। তার কারণ বাংলা অতীতে সাম্প্রদায়িকতার ফল ভুগেছে বারবার।’ আর সেই অতীতের আলোকেই ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলিকে তাদের দায় স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অমর্ত্য।

আরও পড়ুন:বিখ্যাত ফরাসি ফ্যাশন ডিজাইনার পিয়েরে কার্ডিন প্রয়াত

একই সঙ্গে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রচারে যেভাবে বারবার রবীন্দ্রনাথ, সুভাষচন্দ্র, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও স্বামী বিবেকানন্দকে তুলে আনছে রাজনৈতিক দলগুলি সেই প্রেক্ষিতে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যখন মনীষীদের রাজনৈতিক পরিসরে আনা হচ্ছে, তখন আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে যে তারা সর্বদা ঐক্য ও সম্প্রীতি রক্ষার পক্ষে কথা বলেছেন। এবং বাংলার সংস্কৃতি রক্ষার কথা বলতেন। তাঁদের সমাজ-ভাবনা ভেদাভেদ এবং এক সম্প্রদায়ের আরএক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধাচরণ মানসিকতা কখনো স্থান পায়নি।’ এর উদাহরণ টেনে কাজী নজরুল ইসলামের কথা তুলে আনেন অমর্ত্য সেন। বলেন, ‘আমরা সকলের সঙ্গে তাঁরও গুণমুগ্ধ।’

Previous articleফিরে দেখা ২০২০ : জীবনের ক্রিজে আউট হলেন যাঁরা…
Next articleফিরে দেখা ২০২০, (খেলা)