ডুয়ার্সের (Dooars) জঙ্গলের জীববৈচিত্র্যে নতুন সংযোজন ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ (Black Panther) বা ‘কালো চিতা’। নতুন বছরেই পর্যটকদের জন্য সুখবর। ডুয়ার্সের বক্সা প্রকল্পে দেখা মিলেছে ব্ল্যাক প্যান্থারের। জঙ্গলের নামের পাশে ব্যাঘ্র প্রকল্প লেখাটা তবে সার্থক। তবে শোনা গিয়েছে, ব্ল্যাক প্যান্থারের দেখা পাওয়া গেলেও তেমনভাবে দেখা মিলছে না রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger)। সেখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা মাত্র ৩০। তাতে অস্বস্তি বেড়েছে বনদফতরের।

জঙ্গলে ক্যামেরা বসিয়ে রেখেছিলেন বন দফতরের কর্তারা। বক্সার জঙ্গলে বসানো হয়েছিল ১৪০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা। রাজ্যের বন দফতরের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ” জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় ক্যামেরা বসিয়ে রাখা হয়েছিল।গত সাতদিন ধরে একাধিক ক্যামেরায় একাধিক ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি উঠেছে। প্রতিটি প্রাণী একে অপরের থেকে আলাদা। এর থেকেই প্রমাণ হচ্ছে, বক্সার জঙ্গলে চিতাবাঘের পাশাপাশি রয়েছে ব্ল্যাক প্যান্থারও।”

রাজ্যের (West Bengal) চিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন বিনোদ যাদবের কথায়, “বক্সা টাইগার রিজার্ভের বিভিন্ন এলাকায় বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরা ব্ল্যাক প্যান্থারের প্রায় ৩০টি ছবি তুলেছে। সেগুলি পর্যালোচনা করে দেখা গিয়েছে, ওই জঙ্গলের অভয়ারণ্যে অন্তত ৮টি ব্ল্যাক প্যান্থার রয়েছে।” এছাড়াও, ব্যাঘ্র প্রজাতির ক্লাউডেড লেপার্ড এবং গোল্ডেন ক্যাট’ও পাওয়া গিয়েছে ওই বনাঞ্চলে। যাদব জানিয়েছেন, ক্লাউডেড লেপার্ডের সংখ্যা আনুমানিক ৩০টি। গাছের উপর গোল্ডেন ট্র্যাকের ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়লেও তাদের সংখ্যা কত তা, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ব্ল্যাক প্যান্থার, ক্লাউডেড লেপার্ড, গোল্ডেন ক্যাটেরা দিনের বেলা সচরাচর গভীর জঙ্গল থেকে বাইরে বেরোয় না। তাই পর্যটকেরা তাদের কতটা দেখতে পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

আরও পড়ুন-পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপটে থমকে গেল শীতের কাঁপুনি
