প্রয়াত হলেন মানিক মজুমদার। দীর্ঘ কয়েক দশক তিনি কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস সামলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের যাবতীয় কর্মকাণ্ড বাড়ি থেকে যখন সামলানো শুরু হয়। তার অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন মানিক মজুমদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় মানিকদা। কেউ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বার্তা দেওয়া হোক, কিংবা দেখা করা, সবটাই মানিকদা।
অক্লান্ত পরিশ্রমী সদাহাস্য মুখ। মানিক মজুমদার এসবই সামলেছেন বছরের পর বছর একই রকম ভাবে। এবং মমতা অন্তপ্রাণ ‘মানিকদা’কে প্রায় ২৪ ঘন্টাই কালীঘাটের বাড়িতে পাওয়া যেত। অন্য অনেকের মতো তার রাজনৈতিক উচ্চাশা ছিল না খুব একটা। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভালোবেসেই নীরবে কাজ করে গিয়েছেন ব্যাক অফিসে। মাঝে কিছু ঘটনায় তাকে নিয়ে টানাহেঁচড়া হওয়ায় ক্ষোভ চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও।
আরও পড়ুন:ট্রেনের সুরক্ষা বিধির আপডেট নিয়ে চালু ত্রৈমাসিক পত্রিকা ‘অনুভব’
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় মানিকদা আচমকাই কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তড়িঘড়ি তাকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। এদিন তার প্রায়াণের খবরে যারপরনাই বিষন্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে কালীঘাটের বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পারিবারিক সদস্যরাও মনমরা। কারণ মানিক মজুমদার তার এই পরিবারেরই একজন হয়ে গিয়েছিলেন। যেহেতু কোভিড প্রটোকল মেনেই তার শেষ কাজ হবে, তাই ইচ্ছে থাকলেও সবার তার শেষ যাত্রায় শামিল হওয়া হচ্ছে না। তাই নীরবে সবাই চির বিদায় জানান মানিক মজুমদারকে।