বাংলার বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন৷
দফায় দফায় বাংলায় আসছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার-সহ পদস্থ কর্তারা৷ ঘন ঘন বৈঠক
করছে কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাঁচ রাজ্যে আগামী ৩-৪ মাসের মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা৷ তবে কমিশনের উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দুতে পশ্চিমবঙ্গ। অতীতের যে কোনও নির্বাচনে এ রাজ্যে হিংসার ঘটনাসমূহ খতিয়ে দেখে এবার কোনও ঝুঁকিই নিতে চাইছে না কমিশন। তাই পশ্চিমবঙ্গের ভোটের জন্য এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে নির্বাচন কমিশন৷ এই অনুরোধ নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও সেরে ফেলেছে কমিশন৷ সূত্রের খবর, আসন্ন নির্বাচনে বাংলার জন্য ৮০০ কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী চেয়েছেন কমিশন। কেন্দ্রও অরাজি হয়নি৷ কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে দফায় দফায় বাহিনী ঢোকার পর্ব শুরু হবে বলে কমিশনের দাবি৷
গত ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে এসেছিলো ৭৪৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। করোনা-আবহে কেন্দ্রপিছু বুথের সংখ্যা অনূকটাই বৃদ্ধি পেতে চলেছে বলে এবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে আরও ৫১ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী কেন্দ্রের কাছে চেয়েছে কমিশন। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের মতো পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনও হবে ৭ পর্যায়ে। ফলে ভোটের সূচি অনুসারে এই বাহিনীকে জলায় জেলায় মোতায়েন করা হবে৷ প্রয়োজনে আরও বাহিনী বরাদ্দ করতেও প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ এদিকে গত মঙ্গলবার ফের রাজ্যে এসেছেন ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। গত মাসেও তিনি রাজ্যে এসে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক সেরে গিয়েছেন। বুধবার তাঁর বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার ও রাজ্য পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বৈঠকে বসার কথা। তার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও কমিশনের বৈঠকে স্পষ্ট, এবার বাংলার ভোট অবাধ ও হিংসামুক্ত করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন ৷
