Monday, May 5, 2025

‘দরজা এবার ছোট করছি, বন্ধও করে দেবো’, দলবদল প্রসঙ্গে বোধোদয় দিলীপ ঘোষের

Date:

Share post:

পাল্টা চাপ এভাবে আসবে ভাবেননি৷ যার হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেওয়ার জন্য দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিলেন, তিনি দলেই থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করতেই বোধোদয় হয়েছে৷

তাই কার্যত বাধ্য হয়েই বঙ্গ বিজেপির (State BJP) সভাপতি দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh) মুখে অন্য সুর৷ ইচ্ছা না থাকলেও বলতে বাধ্য হলেন, “দরজা খুলে রেখেছি। তবে এ বার আস্তে আস্তে দরজা ছোট করছি। আস্তে আস্তে দরজা বন্ধও করে দেব।’’

আগে দিলীপ ঘোষ একাধিকবার বলেছেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের সকলের জন্যই দরজা খোলা আছে।” রাজ্য সভাপতির মুখে এই কথা শুনে জেলায় জেলায় দলবদল প্রক্রিয়া কার্যত থমকে যাওয়ার মুখে৷ ভোটের মুখে যারা এদল-সেদল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হতে চাইছিলেন, তারাও মুষড়ে পড়েছেন৷

শুধু দিলীপবাবুই নন,রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও একই সুরে বলেছেন, ‘‘সকলকে দলে নেওয়া হবে না। যারা গরু-কয়লা পাচার এবং সিন্ডিকেটের মাফিয়া-রাজে যুক্ত নয়, শুধু তাদের নেওয়া হবে।’’

বিজেপির দুই নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেছেন, “পরিবর্তনের সময় লাল চোরেরা সব নীল হয়েছিল। বামেদের দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজন তৃণমূলে ভিড়েছিল। এখন নীল চোরেরা মওকা বুঝে গেরুয়া হচ্ছে। বাংলায় চোরেদের জন্য আলাদা দল খুলতে হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিল্লিতে অমিত শাহ এবং
জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বৈঠকে দলবদলের বিষয়টি আলোচিত হয়৷
বৈঠকের পর ওই রাতেই দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘‘আমরা বাছবিচার করছি। সকলকে নেওয়া হবে না।’’ অথচ সেই দিলীপবাবুই শনিবার কলকাতায় বলেন, ‘‘বাছবিচার নিয়ে আগেও কথা হয়েছে। সবাইকে নিইনি। নেবও না। আমাদের কাজের উপযোগী এবং ভাল ভাবমূর্তির মানুষদের নেওয়া হবে।’’ তিনি বলেছেন, ” যাঁরা মানুষের কাছে সমালোচিত, তাঁদের বাদ দেওয়া হবে। যাঁদের নেওয়া হবে, তাঁদের যোগ্যতা, ভাবমূর্তি বিচার করে কাজে লাগানো হবে।’’
এদিকে বঙ্গ-বিজেপির অন্দরের খবর, “তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতা ভাঙিয়ে এনে দলের মাথায় বসানো নিয়ে দলীয় কর্মী এবং জনমানসে খারাপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে৷ এ নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “যাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আছে, তৃণমূলের সেই লোকজনকে দলে আনলে মানুষ বিজেপির পাশ থেকে সরে যাবে৷ ভোটেওপ্রভাব পড়বে৷

কিন্তু রাজ্য বিজেপির একটি অংশের দৃঢ় বক্তব্য, ভোটে জেতার জন্য অন্য দল থেকে নেতাদের দলে সামিল করার কৌশল অসম, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশে সফল হয়েছে। সে কারণে তাই সাফল্য পেতে এ রাজ্যেও সেই পথেই এগোতে হবে৷

আরও পড়ুন:আসন-রফা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে বাম কংগ্রেস

Advt

spot_img
spot_img

Related articles

নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘিরে উদ্বেগ! নাইজারে অপহৃত ছয় ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিক

পশ্চিম আফ্রিকার নাইজারের তিল্লাবেরি অঞ্চলে ছয়জন ভারতীয় পরিযায়ী শ্রমিককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র জঙ্গিরা। গত ২৫ এপ্রিল ঘটে যাওয়া...

কড়া নজরদারিতে রাজ্য নির্বিঘ্নে হল নিট পরীক্ষা

চলতি বছর রবিবার হয়ে গেল ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা।  ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তত্ত্বাবধানে গোটা দেশজুড়ে প্রায়...

পরপর ছয় বলে ছটা ছয়, ইতিহাস তৈরি রিয়ান পরাগের

ইডেন গার্ডেন্সে রাজস্থান রয়্যালস(RR) জিতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু ঐতিহ্যের ইডেনেই ইতিহাস তৈরি করলেন রিয়ান পরাগ(Riyan Parag)। পরপর ছয়...

ব্যানার-হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা! মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তৃণমূল 

সোমবার ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুর থেকে রওনা হয়ে তিনি পৌঁছাবেন ধুলিয়ানে। সূত্রের...