Saturday, December 20, 2025

‘দরজা এবার ছোট করছি, বন্ধও করে দেবো’, দলবদল প্রসঙ্গে বোধোদয় দিলীপ ঘোষের

Date:

Share post:

পাল্টা চাপ এভাবে আসবে ভাবেননি৷ যার হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে দেওয়ার জন্য দিল্লিতে পাড়ি দিয়েছিলেন, তিনি দলেই থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা করতেই বোধোদয় হয়েছে৷

তাই কার্যত বাধ্য হয়েই বঙ্গ বিজেপির (State BJP) সভাপতি দিলীপ ঘোষের ( Dilip Ghosh) মুখে অন্য সুর৷ ইচ্ছা না থাকলেও বলতে বাধ্য হলেন, “দরজা খুলে রেখেছি। তবে এ বার আস্তে আস্তে দরজা ছোট করছি। আস্তে আস্তে দরজা বন্ধও করে দেব।’’

আগে দিলীপ ঘোষ একাধিকবার বলেছেন, তৃণমূল বা অন্য দল থেকে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে ইচ্ছুক, তাঁদের সকলের জন্যই দরজা খোলা আছে।” রাজ্য সভাপতির মুখে এই কথা শুনে জেলায় জেলায় দলবদল প্রক্রিয়া কার্যত থমকে যাওয়ার মুখে৷ ভোটের মুখে যারা এদল-সেদল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থী হতে চাইছিলেন, তারাও মুষড়ে পড়েছেন৷

শুধু দিলীপবাবুই নন,রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও একই সুরে বলেছেন, ‘‘সকলকে দলে নেওয়া হবে না। যারা গরু-কয়লা পাচার এবং সিন্ডিকেটের মাফিয়া-রাজে যুক্ত নয়, শুধু তাদের নেওয়া হবে।’’

বিজেপির দুই নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেছেন, “পরিবর্তনের সময় লাল চোরেরা সব নীল হয়েছিল। বামেদের দুর্নীতিগ্রস্ত লোকজন তৃণমূলে ভিড়েছিল। এখন নীল চোরেরা মওকা বুঝে গেরুয়া হচ্ছে। বাংলায় চোরেদের জন্য আলাদা দল খুলতে হবে।’’

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিল্লিতে অমিত শাহ এবং
জগৎপ্রকাশ নাড্ডার সঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতাদের বৈঠকে দলবদলের বিষয়টি আলোচিত হয়৷
বৈঠকের পর ওই রাতেই দিলীপবাবু বলেছিলেন, ‘‘আমরা বাছবিচার করছি। সকলকে নেওয়া হবে না।’’ অথচ সেই দিলীপবাবুই শনিবার কলকাতায় বলেন, ‘‘বাছবিচার নিয়ে আগেও কথা হয়েছে। সবাইকে নিইনি। নেবও না। আমাদের কাজের উপযোগী এবং ভাল ভাবমূর্তির মানুষদের নেওয়া হবে।’’ তিনি বলেছেন, ” যাঁরা মানুষের কাছে সমালোচিত, তাঁদের বাদ দেওয়া হবে। যাঁদের নেওয়া হবে, তাঁদের যোগ্যতা, ভাবমূর্তি বিচার করে কাজে লাগানো হবে।’’
এদিকে বঙ্গ-বিজেপির অন্দরের খবর, “তৃণমূল থেকে একের পর এক নেতা ভাঙিয়ে এনে দলের মাথায় বসানো নিয়ে দলীয় কর্মী এবং জনমানসে খারাপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে৷ এ নিয়ে চর্চাও শুরু হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। রাজ্য বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, “যাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আছে, তৃণমূলের সেই লোকজনকে দলে আনলে মানুষ বিজেপির পাশ থেকে সরে যাবে৷ ভোটেওপ্রভাব পড়বে৷

কিন্তু রাজ্য বিজেপির একটি অংশের দৃঢ় বক্তব্য, ভোটে জেতার জন্য অন্য দল থেকে নেতাদের দলে সামিল করার কৌশল অসম, ত্রিপুরা, হিমাচল প্রদেশে সফল হয়েছে। সে কারণে তাই সাফল্য পেতে এ রাজ্যেও সেই পথেই এগোতে হবে৷

আরও পড়ুন:আসন-রফা চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে বাম কংগ্রেস

Advt

spot_img

Related articles

মুজিবের বাড়ির উপর ISIS পতাকা! সাংবাদিকদের রক্ষার বার্তা রাষ্ট্রসঙ্ঘের

একের পর এক সংবাদপত্রের দফতরে আগুন। সাংবাদিক হত্যা। বাংলাদেশে বাক-স্বাধীনতার নিকৃষ্টতম নজির রচিত হয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। এবার বাংলাদেশ...

বাংলায় হিংসা ছড়াচ্ছে অমিত মালব্য: পুলিশের দ্বারস্থ তৃণমূল

প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে কোনও রকম অশান্তি হলে তার আঁচ সবার আগে পড়ে বাংলায়। সেই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে...

শীতের শহরে ম্যারাথনের উত্তাপ, ভারতীয় সংস্কৃতিতে মজে অলিম্পিক্স পদকজয়ী দৌড়বিদ

শীতের শহরে ম্যারাথনের উত্তাপ। রবিবার ভোরে কলকাতার রাজপথে ম্যারাথনে (World 25K Kolkata)অংশ নেবেন বিশ্বের খ্যতনামা রানাররা। ইতিমধ্যেই শহরে...

হার্দিক-বরুণের দাপটে স্বস্তির জয়, চিন্তা বজায় রাখলেন সূর্য

শনিবার টি২০  বিশ্বকাপের(T20 World Cup) দল ঘোষণা। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি২০(T20) সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া। আহমেদাবাদে...