করোনা টিকা না নিলে মাইনে হবে না সরকারি কর্মীদের !!!

করোনা টিকা না নিলে মাস-মাইনে পাবেন না রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এমনই ফতোয়া জারি করল ঝাড়খণ্ড রাজ্য সরকার।  সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের করোনা টিকা সংক্রান্ত এই নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। তবে এই  নির্দেশিকা জারির পর থেকেই প্রবল বিতর্ক শুরু হয়। আর এই বিতর্কের জেরে পিছু হটে তা প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সরকারি সূত্রে।

করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নিতেই হবে। প্রয়োজনে জোর করে টিকা দেওয়া হবে সরকারি কর্মীদের। গত ১৬ জানুয়ারি  এমনই নির্দেশ জারি করেন কোডার্মা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলা স্বাস্থ্য সমিতির মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক পার্বতীকুমার নাগ ও জেলা প্রতিরক্ষণ আধিকারিক ও এসিএমও অভয় ভূষণ প্রসাদ। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের প্রতি জারি করা এই নির্দেশে বলা হয়, যে সরকারি কর্মী করোনা প্রতিষেধক টিকা নেননি, তাঁরা যত শিগগির সম্ভব এই টিকা নিয়ে নিন। যদি তাঁরা তা না করেন, তবে আগামী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বেতন পাবেন না তাঁরা। টিকা নেওয়ার প্রমাণপত্র জমা করার পরেই মাইনে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই নির্দেশ জারি হওয়ার পরেই সরকারি কর্মীরা এর বিরোধিতা শুরু করেন। হইচই দেখে তড়িঘড়ি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় নির্দেশ। কোডার্মা স্বাস্থ্য বিভাগের অনেক কর্মী জানিয়েছেন, তাঁরা এই নির্দেশ পেয়েছেন, এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে অত্যন্ত অসন্তোষ রয়েছে।

ঝাড়খণ্ডের মুখ্য স্বাস্থ্য সচিব নীতিন মদন কুলকার্নি জানিয়েছেন, এই নির্দেশ জারি করা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু প্রত্যাহার করা হয়েছে। এই নির্দেশ জারি করার ব্যাপারে কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে চাননি। জানা গিয়েছে, টিকাকরণের প্রথম দিন কোডার্মা জেলার দুটি কেন্দ্রে একশো জনকে টিকা দেওয়ার টার্গেট ছিল। কিন্তু তত টার্গেট পূরণ হয়নি। তাই  এই তুঘলকি নির্দেশ জারি হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু নির্দেেশিকা জারিজ পরেও ২০০-র জায়গায় মাত্র ১৩৯ জন করোনা টিকা নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-করোনা ভ্যাক্সিনের অপচয় রোধে কড়া নির্দেশিকা স্বাস্থ্য ভবনের

Advt

 

Previous articleনন্দীগ্রামের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন তিনি
Next article‘বন্ধুদের ঋণ মাফ, আর অন্নদাতার পুঁজি সাফ!’ মোদি সরকারকে ফের তোপ রাহুলের