নিজের 2014 সালে লেখা চিঠির অংশ। আর এখন কলকাতা সি এম এম কে লেখা সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের চিঠির সার্টিফায়েড কপির কিছু অংশ।
মুকুল রায়কে গ্রেপ্তার করে তদন্ত চাই কেন?
দিলীপ ঘোষ ( dilip ghosh) ভেবে দেখবেন।
আমি মনে করি মুকুল রায়কে হেপাজতে না নিলে সারদা তদন্ত অসম্পূর্ণ থাকবে।
এটা আমি আজ বলছি না। 2013 সাল থেকে বলছি।
আজ এতকাল বাদে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন জেল থেকে বিচারককে লেখা চিঠিতে বলেছেন,” মুকুল রায় আমাকে তখন বলেছিলেন ঐ চিঠি লিখে কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকতে। উনি কেডিসিংএর আলকেমিস্টকে সুবিধে করে দিতে, আর ওঁর প্রতিপক্ষদের বদনাম করতে আমাকে ব্যবহার করেছিলেন। আমি ফাঁদে পড়ে ভুল করেছিলাম। সারদা গোষ্ঠী আর আমার ক্ষতি হয়ে গেল।
ওঁকে আমি বিশ্বাস করেছিলাম। পরে দেখলাম উনি অ্যালকেমিস্টের হয়ে কাজ করছেন।”
কোর্টের কেস রেকর্ড থেকে আমি এই নথির সার্টিফায়েড কপি তুলেছি।
এই পোস্টে আমি 2014 সালে দমদম জেল থেকে সিবিআই ও ইডিকে লেখা সবিস্তার চিঠিটির সামান্য অংশ দিলাম।
আর 2020 সালে সুদীপ্ত সেনের বিচারককে লেখা চিঠির সামান্য অংশ দিলাম।
সেদিন সুদীপ্ত সেন কারুর কথায় মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন। আজ লিখছেন সবটা।
সেদিন আমি একবর্ণ ভুল বলিনি।
যতদিন যাবে সব প্রমাণ হবে। সবাই সব বুঝবেন।
আমি সুদীপ্ত সেনের বয়ানকে ধ্রুবসত্য ধরি না।
কিন্তু তদন্ত চাই।
কথা যখন মিলছে, তাহলে সময় নষ্ট না করে তদন্ত হোক।
সারদা, নারদ তদন্ত এড়াতেই মুকুলদা বিজেপিতে ঢুকে বসে আছে।
দিলীপ ঘোষসহ বিজেপি নেতাদের বলব, আপনাদের সঙ্গে আমাদের মতাদর্শগত ও রাজনৈতিক লড়াই চলছে চলুক। কিন্তু এরকম যারা ভালোবেসে বিজেপি যায়নি; স্রেফ নিজেদের স্বার্থে তদন্ত এড়াতে বিজেপিকে আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করছে, ক্ষমতা দখলের ভুল নেশায় তাদের ব্যক্তিস্বার্থ সফল হতে দেবেন না।
মুকুল রায়কে অবিলম্বে হেফাজতে নিয়ে জেরা প্রয়োজন।