Sunday, November 9, 2025

বলেন কী!! সিপিএম পলিটব্যুরো নেতা সেলিমের মুখে ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান!

Date:

কেউ কেউ বলছেন, ভূতের মুখে রাম নাম। আবার কেউ বলছেন, বিনাশকালে বুদ্ধিনাশ। আর কেউ নন, সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম সমালোচনার মধ্যমণি। তিনি কিনা সভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্লোগান তুললেন ‘বন্দে মাতরম’! রাজনৈতিক মহল বিস্মিত।

বামেদের মুখে বন্দে মাতরম! হ্যাঁ, বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে দলের সভা ছিল। সেই সভায় বক্তা ছিলেন মহম্মদ সেলিম। বক্তব্য শেষ করে সেলিম কী বললেন? স্লোগান দিতে গিয়ে সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ আওয়াজ তুলে বললেন, হাম সব এক হ্যায়, ইনক্লাব জিন্দাবাদ, বন্দে মাতরম, জয়হিন্দ।

প্রথম দুটি স্লোগান নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে না, সাম্প্রতিক অতীতে কোনও সিপিএম নেতা ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিয়েছেন কিনা। এই স্লোগান মূলত কংগ্রেসের। পরে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হওয়ার পর তারাও এই স্লোগান দিয়ে থাকে। কিন্তু বামেদের মুখে এই স্লোগান কখনও শোনা যায়নি। কেন এই বোধোদয়? অনেকেই এর মধ্যে রাজনীতি খুঁজে পেয়েছেন। তৃণমূল বলছে, আসলে বোধোদয়। মাতৃভূমিকে বন্দনা করতে এই দলের অর্ধশতকের বেশি সময় চলে গেল। আসলে এই দলের সব কিছুই দেরিতে হয়। আর সব শেষে তারা বলে, আমরা ভুল করেছিলাম।

কিন্তু বন্দে মাতরমের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সভায় কেন জয়হিন্দ স্লোগান? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিজেপির মতো উগ্র জাতীয়তাবাদী দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে এটা আসলে নিজেদের দেশভক্ত প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা। মানুষ বুঝবেন এটা আসলে সিপিএমের রাজনৈতিক মুখোশ।

আরও পড়ুন- ফের জট: কেন্দ্রের দেওয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেন কৃষকরা

 

Related articles

‘অরণি সরণি’, উৎপল সিনহার কলম 

প্রথমে সিমেন্টের রাস্তায় লোহার ঠেলাগাড়ির আওয়াজ তারপর চিৎকার , ' ময়লা আছে? ' ছুটে যাই । উপুড় করে দিই ডাস্টবিন। ভাবি যদি সব ময়লা...

ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ব্রেন স্ট্রোক! SIR-আতঙ্কে মৃত্যু এবার BLO-র

কারো নাম নেই ভোটার তালিকায়, কারো পরিচয়ে ভুল। এই সব আতঙ্কে যখন রাজ্যে একের পর এক সহনাগরিকদের মৃত্যু...

সংকটে ভারতীয় ফুটবল, কঠিন সময়ে সরব হলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই তারকা

ভারতীয় ফুটবলে বিপণন করার কেউ নেই।দেশের সর্বোচ্চ লিগ না হলে একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে ভারতীয় ফুটবল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।...

কীভাবে দত্তাবাদে খুন স্বর্ণ ব্যবসায়ী: এবার তদন্তে গোয়েন্দা বিভাগ

পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের বাসিন্দা। সোনার ব্যবসা করতেন নিউটাউনের দত্তাবাদে। দেহ পাওয়া গেল যাত্রাগাছির কাছে। খুনে নাম জড়ালো জলপাইগুড়ির...
Exit mobile version