টুইটার (Tweeter) কর্তৃপক্ষ সাময়িকভাবে ব্লক করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) টুইটার অ্যাকাউন্ট। গত বছর শাহের অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার। এরপর অ্যাকাউন্টটি ফের চালু করেও দেওয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়ার পর অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
সংসদীয় কমিটি বৃহস্পতিবার টুইটারের আধিকারিকদের ডেকে পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে, কোন অধিকারে ওরা শাহের অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছিলেন? এ ব্যাপারে টুইটার কর্তৃপক্ষের কাছে সংসদীয় কমিটি জবাবদিহি চাওয়ায় সংস্থার কর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল।
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) টুইটার অ্যাকাউন্টটি একই কৌশল অবলম্বন করে ক্যাপিটল (Capital) হামলার পর সাময়িকভাবে ব্লক করে দিয়েছিল টুইটার। এরপর জোর বিতর্ক হয়েছে। ট্রাম্প সমর্থকরা রুষ্ট হয়েছেন। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, টুইটার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে।

অবশ্য ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টটি সাময়িক ভাবে টুইটার কর্তৃপক্ষ বন্ধ করার পর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান ট্রাম্প বিরোধী মার্কিন নাগরিকরা।
সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) অনেকক্ষেত্রেই অপব্যবহার হচ্ছে। এই অভিযোগ উঠছে বারংবার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সম্প্রতি দাবি করে টুইটার কর্তৃপক্ষ। টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের ফলে সাইবার ক্রাইম ( Cyber Crime) বাড়ছে। বহু ক্ষেত্রেই এর শিকার হচ্ছেন মহিলারা।
এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে উস্কানিমূলক বক্তব্য।

অন্যদিকে, শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট কেন বন্ধ করতে চাওয়া হল, বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কে টুইটার ও ফেসবুকের আধিকারিকদের কাছে সংসদীয় কমিটির বিজেপি (Bjp) সদস্যরা জানতে চেয়েছেন, টুইটার তাদের নীতি স্পষ্ট করুক।

শাহের টুইটার অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করার সময় অ্যাকাউন্টে থাকা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছবিটিও সরিয়ে দেওয়া হয়। এতে ব্যাপক রুষ্ট হয় বিজেপি। সংসদীয় কমিটির বিজেপি সদস্যদের চাপের মুখে অবশ্য ‘ভুল হয়ে গিয়েছে’ বলে ক্ষমা চেয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-CWC বৈঠকে বড় সিদ্ধান্ত, মে মাসে হতে পারে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন: সূত্র