কোন্নগরে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের কোর কমিটি ও জেলা মুখপাত্রের পদ ছাড়লেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। মঙ্গলবার, বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ উত্তরপাড়ার (Uttarpara) তৃণমূল (Tmc) বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghosal) সাংবাদিক বৈঠক করেন। বেশকিছু দিন ধরেই দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বেসুরো ছিলেন তিনি। সোমবার, মুখ্যমন্ত্রীর পুরশুড়ার (Pursura) অনুপস্থিত ছিলেন প্রবীর ঘোষাল। এরপরেই বিজেপি যোগের জল্পনা উঠেছিল রাজনৈতিক মহলে। তবে এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার কোন কথা জানাননি ‘অভিমানী’ বিধায়ক।

সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল দলের কোর কমিটি (Core Commitee) ও দলের মুখপাত্র পদ ছেড়ে দেন প্রবীর ঘোষাল। পদ ছাড়ার আগে ও পরে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-অভিমান উগরে দেন বিধায়ক। তিনি বলেন সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বিধায়ক পদ এখন ছাড়ছেন না।তাঁর দলের কাজকর্মে তাঁকে ডাকা হচ্ছেনা। দলে ঝগড়া দিন দিন বেড়েই চলেছে দলের একাংশ বিধায়ককে কাজ করতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন প্রবীর ঘোষাল। তিনি বলেন দলের শুদ্ধিকরণ দরকার।
হুগলি জেলার কোন্নগরের নবগ্রাম হীরালাল পাল কলেজের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়া নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। কলেজের নয়া ভবন উদ্বোধন করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Benarjee)। প্রবীর ঘোষাল জানান, অনুষ্ঠানে কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। এমনকী আমন্ত্রণ পত্রেও তাঁর নাম নেই বলে আক্ষেপ করেন প্রবীর।

পদ ছাড়ার পর দলের বিরোদ্ধে আরও বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন প্রবীর ঘোষাল। এদিন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee) হয়েও সাওয়াল করেন তিনি। এদিন দলের পদ ছাড়ার পর এখন দল ছাড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

এদিকে প্রবীর ঘোষাল পদ ছাড়ার পরেই তাঁর বিধায়ক অফিসের সামনে ‘গদ্দার হটাও’ স্লোগান ওঠে।

আরও পড়ুন-রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রেড রোডের কুচকাওয়াজে নেতাজিকে শ্রদ্ধার্ঘ
