কৃষকদের (farmers) ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির হিংসাত্মক ঘটনার (violence) দায় প্রকৃত আন্দোলনকারী কৃষকদের নয়। বুধবার টিকরি (tikri) সীমান্তে কৃষকদের জমায়েত সভা থেকে একথা স্পষ্টভাবে জানালেন কৃষক নেতারা (farmer leaders)। কৃষি আইন (farm laws) বাতিলের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কৃষক বিক্ষোভ চলবে জানিয়ে সর্বস্তরে শান্তি (peace) ও ঐক্য বজায় রাখার আর্জি জানান তাঁরা। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার (SKM) পক্ষ থেকে গতকালের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বলা হয়, কিছু লোক বাইরে থেকে ঢুকে উত্তেজনা তৈরি করেছে ও প্ররোচনা ছড়িয়েছে। প্রকৃত আন্দোলনকারীরা কখনোই অশান্তি করেননি। লালকেল্লা অভিযানের কোনও কর্মসূচি ছিল না কৃষক মোর্চার। যে বা যারা এগুলো করেছেন তারা আন্দোলনকে কলুষিত করে কৃষক ঐক্য দুর্বল করতে চান। লালকেল্লা কাণ্ডের পাণ্ডা দীপ সিধুর সঙ্গে কৃষক সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই বলে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্টে কয়েকজন কৃষক নেতা দীপ সিধুর বিজেপি ঘনিষ্ঠতার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন। টিকরি সীমান্তে এদিনের কৃষক জমায়েতে ঠাসা ভিড় হয়।

আরও পড়ুন:আইপিএলের নিলামের দিন ঠিক করে ফেলল বিসিসিআই
এদিকে গতকাল হিংসা ও অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ২০০ ব্যক্তিকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খুব শিগগির তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর। লালকেল্লার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত দীপ সিধুর বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। বিজেপি ঘনিষ্ঠ এই ব্যক্তির ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
