Saturday, August 23, 2025

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদের প্রক্রিয়ায় আমেরিকার মন্তব্যে অস্বস্তিতে ভারত

Date:

রাষ্ট্রপুঞ্জের(United nation) জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত ভারতের। এই দাবীতে সরব হয়েছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন ৩ রাষ্ট্রপতি(president) জর্জ বুশ, বারাক ওবামা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে আমেরিকার সরকার পরিবর্তনের পর সে প্রক্রিয়ায় জোর ধাক্কা খেলো ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের দূত হিসেবে নতুন মার্কিন সরকার যাকে মনোনীত করেছেন সেই লিন্ডা টমাস গ্রীনফিল্ড বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট সমর্থনের বার্তা দিলেন না। তিনি জানিয়ে দিলেন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। ফলে আমেরিকার(America) কথায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ল ভারত(India)। যদিও এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে স্পষ্ট করে কিছুই জানানো হয়নি।

একেবারে শুরুতে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সংক্রান্ত আলোচনা প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছিল আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিন। যদিও পরে বিষয়টি নিয়ে বাকি দেশগুলো কিছুটা অগ্রসর হলেও ভারতের সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে শুরু থেকেই তীব্র বিরোধিতা করে চিন। এক্ষেত্রে চিনের পাশে দাঁড়িয়েছে তার বন্ধুদেশ পাকিস্তানও। ভারতের পাশাপাশি একই সমস্যা ভুক্তভোগী ব্রাজিল, জাপান, জার্মানি। রাষ্ট্রপুঞ্জে এই তিন দেশের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বিরোধী তিনটি দেশ ইতালি, মেক্সিকো এবং মিশর। আমেরিকা এই বিরোধিতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেইসব বিরোধিতাকে উপেক্ষা করে একাধিকবার সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে জোর সওয়াল করেছেন পূর্বের ৩ রাষ্ট্রপতি। তবে এবার ভিন্ন সুর শোনা গেল আমেরিকার গলায়।

আরও পড়ুন:রাজ্যের নির্বাচনে প্রার্থী দেবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, হেমন্ত সোরেনের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ মমতা

সম্প্রতি লিন্ডাকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করার আগে কনফার্মেশন শুনানির সময় ওরেগনের সেনেটর জেফ মার্কলে প্রশ্ন করেন ‘আপনি কি মনে করেন ভারত, ব্রাজিল, জার্মানি ও জাপানের রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়া উচিত?’ উত্তরে লিন্ডা জানান, ‘নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশদে আলোচনা হয়েছে এবং এ বিষয়ে ইতিবাচক কিছু যুক্তিও রয়েছে। পাশাপাশি এটাও জানি ওই অঞ্চলের কিছু দেশ সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে বিরোধিতা করেছে। তাদের দাবি ওই অঞ্চলের দেশ গুলিকে স্থায়ী সদস্যপদ না দেওয়ার। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।’ তার এহেন মন্তব্যেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ল ভারত।

Related articles

আমেরিকায় চিঠি–পার্সেল পাঠানোয় বিধিনিষেধ, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় ডাক বিভাগের 

ভারত–মার্কিন শুল্কযুদ্ধের জেরে এবার বড়সড় প্রভাব পড়ল ডাক পরিষেবায়। আমেরিকায় চিঠি ও পার্সেল পাঠানোর প্রক্রিয়ায় বিধিনিষেধ জারি করল...

ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে তৎপর রাজ্য! জেলাগুলিকে একগুচ্ছ কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিবের 

রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় শনিবার নবান্নে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব...

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...
Exit mobile version