ফেব্রুয়ারির ৮-৯ তারিখ দু’দিনের বঙ্গ সফরে অমিত শাহ

দিল্লি বিস্ফোরণ (Delhi Blust) কাণ্ডের জেরে জানুয়ারির শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Home Minister) অমিত শাহের (Amit Shah) দু’দিনের বঙ্গ সফর স্থগিত হয়ে যায়। যেখানে উত্তর ২৪ পরগনার মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগর ও হাওড়া ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে জনসভা ও যোগদান মেলা ছিল। যা বিধানসভা ভোটের আগে খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল।ঠাকুরনগরের সভা একেবারেই হয়নি। NRC-CAA ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতুয়াদের আশারবাণী এমনটাই মনে করেছিলেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজন। কিন্তু অমিত শাহ না আসায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। যা নিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। ঠাকুরনগরে গিয়ে তাঁরা জানিয়ে দেন, মঞ্চ খোলা হবে না। যে কোনও দিন রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। অন্যদিকে, ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে স্মৃতি ইরানিকে এনে কোনরকমে মুখরক্ষা করে বিজেপি। সেখানে ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন অমিত শাহ। তবে এবার সশরীরে রাজ্যে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর বঙ্গ সফরের দিন কার্যত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ৮ ও ৯ ফেব্রুয়ারি, দু’দিনের সফরে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ।

উল্লেখ্য, চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথম দু’সপ্তাহ রাজ্যজুড়ে সর্বভারতীয় বিজেপির তিন শীর্ষ নেতার। যেখানে ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে মোদি-শাহ-নাড্ডার। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি ফের বাংলায় আসছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (J P Nadda)। তিনি মালদা থেকে উত্তরবঙ্গ রথযাত্রার সূচনা করবেন বলে জানা গিয়েছে। এরপর দিল্লি ফিরে যাবেন তিনি। কিন্তু তারপর ফের ১০ ফেব্রুয়ারি রথযাত্রার উদ্বোধনে আবার রাজ্যে আসছেন জে পি নাড্ডা।

ঠিক তার পরের দিন অর্থাৎ ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুভেন্দু গড় হলদিয়ায় একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেবেন তিনি। উদ্বোধন করবেন ১১০০ কোটি টাকা খরচ করে বানানো এলপিজি টার্মিনালের। তবে এবারও শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠানে বাংলায় আসছেন মোদি, থাকছে না কোনও দলীয় কর্মসূচি। আর আগে সরকারি অনুষ্ঠানে গত ২৩ জানুয়ারি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি।

এর পরদিন, অর্থাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি দু’দিনের রাজ্য সফরে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। এবং তাঁর গোটা কর্মসূচি দলীয়। বলা চলে, জানুয়ারির শেষে স্থগিত হয়ে যাওয়া কর্মসূচির নতুন রোস্টার অমিত শাহের।

উল্লেখ্য, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। তার আগে সরকারি হোক কিংবা দলীয়, বঙ্গ বিজেপিকে চার্জ করতে রাজ্যে আসছেন গেরুয়া শিবিরের তিন শীর্ষ নেতা।

আরও পড়ুন:কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে খনি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে CBI

Advt

Previous articleকয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে খনি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিচ্ছে CBI
Next articleএই বাজেট দিশাহীন, বিভ্রান্তিকর, মধ্যবিত্ত বিরোধী! মন্তব্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের