যাঁরা শুধু নিজের পরিবারকে দেখেছেন মানুষের পাশে থাকেনি আমি তাদের জন্য নই- মঙ্গলবার কালনা সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী (Shubhendu )পরিবারের বিরুদ্ধে এভাবেই কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। দলবদলুদের সম্পর্কে তিনি বলেন, “তৃণমূলের (Tmc) কেউ অন্যায় করলে আমার কানে আসলে বরদাস্ত করি না। এবার টিকিট পাবে না বুঝেই সব দল ছেড়ে গিয়েছে। ভালোই হয়েছে, পাপ বিদায় হয়েছে”। তিনি বলেন, যাঁদের নিয়েছে বিজেপি (Bjp), পরে বুঝবে। এদিন মমতা বলেন, “যারা দলে থেকে তৃণমূলের ক্ষতি করবে, তাদের দরকার নেই”।

বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন তৃণমূল (Tmc) নেত্রী। তিনি বলেন, ওরা কোনও ধর্মকে সম্মান করে না। চৈতন্যদেব সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয়। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙে বিজেপি। বাম ও বিজেপিকে এক তিরে বিদ্ধ করেন মমতা। “যা ছিল বাম, আজ তাই বিজেপি। শান্তিতে থাকতে হলে তৃণমূলই বন্ধু। আগামী দিন মা-মাটি-মানুষের জয় হবে”।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র অভিযোগ করছে রাজ্যের তরফ থেকে কৃষকদের নাম পাঠানো হয়নি। সব নাম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। “মোদিবাবুকে বলুন এবার টাকা পাঠাতে”।

রাজ্য সরকার কৃষকদের থেকে চাল কেনে। বিনামূল্যে রেশন দেয়। আগামী দিনেও দেবে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের কৃষি আইন কৃষকদের লুঠ করে নেবে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বছরে দু’বার করে দুয়ারে সরকারের শিবির হবে বলে এদিনের সভায় থেকে ফের জানান মুখ্যমন্ত্রী। পুরোহিতদের ১ হাজার টাকা মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। মাদ্রাসাগুলিকেও সরকারি সাহায্য করা হবে। ২ কোটির বেশি সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। বিরসা মুন্ডার (Birsha Munda) জন্মদিনে ছুটি দিয়েছে সরকার। ছটপুজোতেও দুদিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন:সুনীলের প্রত্যাবর্তন কার্যত নিশ্চিত, তৃণমূলে আইপিএস হুমায়ুন কবীর
