এবার কী দুর্নীতির অভিযোগে জড়াল বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের (Mukul Roy) পরিবার? অন্তত সম্প্রতি পাওয়া সরকারি নথি থেকে এমনই ইঙ্গিত। কাঁচরাপাড়ার বিদ্যাসাগর বিএড কলেজের জমি নিয়ে বিতর্ক। নথি অনুযায়ী, ওই জমির মালিক মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় (Krisna Roy) এবং শুভ্রাংশু রায়ের (Subhranshu Roy) স্ত্রী শর্মিষ্ঠা ভৌমিক রায় (Sharmistha Bhowmik Roy)। ধানি ও জলাজমি বাস্তুজমিতে পরিবর্তন করে কলেজ করার জন্য আবেদন জানান তাঁরা।

২০১৪ সালের ২৮ এপ্রিল এই চিঠি লেখা হয়। বিএলআরও-র (Blro) কাছে অনুপম মল্লিক (Anupom Mallik) মালিকপক্ষের হয়ে বিএলআরও-র কাছে হাজিরা দেন। সেখানে বিএলআরও বেশ কিছু নথি তলব করেন। সেগুলির মধ্যে ছিল- ওই জমিতে কী করা হবে? কলেজ বা ইউনিভার্সিটি হলে তার অনুমোদন আছে কি না? কী পড়ানো হবে? কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন? সবকিছু সঠিক জবাব না পেয়ে তিনি বিষয়টি অতিরিক্ত জেলাশাসকের (Adm) (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) কাছে পাঠিয়ে দেন। সেখানে শর্মিষ্ঠা ভৌমিক রায় এবং কৃষ্ণ রায় কী কী নথি জমা দিয়েছেন তার উল্লেখ করা ছিল।

সেই বছরই ২২ জুলাই অতিরিক্ত জেলাশাসক (Dm) বিষয়টি দেখে জেলাশাসকের কাছে পরামর্শের জন্য পাঠিয়ে দেন। সব দেখে অগাস্ট মাসের ১২ তারিখ জেলাশাসক প্রয়োজনীয় নথি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে অতিরিক্ত জেলাশাসকের চিঠির জবাব দেন। কিন্তু রহস্য এখানেই। ২৫ জুলাই এই জমিটি জলাজমি থেকে বাস্তু জমিতে পরিবর্তন করার নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (Noc) দিয়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন হল, যেখানে ২২ জুলাই এডিএম, ডিএম-এর কাছে পরামর্শ চেয়ে পাঠালেন, সেখানে জেলাশাসকের উত্তর আসার আগেই কী করে এনওসি দিয়ে দেওয়া হল? প্রশ্ন উঠেছে, যদি এডিএম-এর কোন সন্দেহ নাই থাকে, তাহলে তিনি ডিএম-এর কাছে পরামর্শ চাইলেন কেন? প্রয়োজনীয় নথি ছাড়া কীভাবেই বা অনুমতি দেওয়া হল? মুকুল রায়ের রাজনৈতিক প্রভাব খাঠিয়েই কি মিলেছে কলেজের অনুমতি? এখন এই সব প্রশ্নে জর্জরিত বিদ্যাসাগর বিএড কলেজ। যদিও এই বিষয়ে মুকুল রায়ের তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, এই সমস্ত অভিযোগই ভিত্তিহীন।

আরও পড়ুন:তৃণমূলের মঞ্চে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা, শীর্ষ নেতৃত্বের সামনে বিক্ষোভ কর্মী-সমর্থকদের