জাপানে তীব্র ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে মাত্রা ৭.১

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। রিখটার স্কেলে  এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। শনিবার রাতে এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ফুকুশিমার উপকূলে। জাপানি আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে এই ভূমিকম্পের ফলে সুনামির কোনও আশঙ্কা নেই।
শনিবার ১১টা ৮ মিনিটে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এই ভূমিকম্প। ভূমিকম্পের ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও গুরুতর ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্প কবলিত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের আফটার শকের বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
ভূমিকম্পের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হয় দেশটির ফুকুশিমা ও সেন্ডাই অঞ্চলে। এ ছাড়াও এই ভূমিকম্পটি বৃহত্তর টোকিও অঞ্চলকেও কাঁপিয়ে দিয়েছে। টোকিও ছাড়াও আরও নয়টি অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা অনুভূত হয়।
জাপান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনে টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক তাকশি ফুরুমুরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে এই একই মাত্রার ভূমিকম্প আরও হতে পারে। তিনি বলেন, শনিবার রাতের ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ফুকুশিমার উপকূলে। সম্ভবত সমুদ্রের প্রায় ৩৭ মাইল নিচে ছিল এর কেন্দ্রবিন্দু।
এতোরোফু দ্বীপ একটি বিতর্কিত অঞ্চল। জাপান ও রাশিয়ার মধ্যে এই দ্বীপের অধিকার নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সংঘাত চলছে। বর্তমানে এই দ্বীপটি রাশিয়ার অধিকারে রয়েছে। সেখানেই এবার ভূমিকম্প হল।
জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম এনএইচকে টিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে ফুকুশিমা দাই-ইচি পরমাণু কেন্দ্রের কোনওরকম ক্ষতি হয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে অবশ্য কোনওরকম ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কম্পনের ফলে কেউ আহত হননি বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে ভূমিকম্পের ফলে ৮,৬০,০০০টি বাড়ি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে বলে জানিয়েছে টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি। ভূমিকম্পের ফলে উত্তর-পূর্ব জাপানে কয়েকটি ট্রেন থেমে যায়।


ভূমিকম্পের খবর পাওয়ার পরেই নিজের দফতরে পৌঁছে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা। তাঁর দফতরে ‘ক্রাইসিস সেন্টার’ তৈরি করা হয়েছে।
২০১১ সালের মার্চে ফুকুশিমায় শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। সেই ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দাই-ইচি পরমাণু কেন্দ্র। এই পরমাণু কেন্দ্রের মধ্যে সমুদ্রের জল ঢুকে যায়। পরমাণু কেন্দ্রের তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। তাই এবারের ভূমিকম্প নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন জাপান।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next article১৪ ফেব্রুয়ারি, রবিবারের বাজার দর