রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে দীনেশ ত্রিবেদীর (Dinesh Tribedi) ইস্তফা ঘিরে চর্চা রাজনৈতিক মহলে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের (Chairman) ভূমিকা নিয়ে। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে অভিযোগ জমা দিয়েছে তৃণমূল (Tmc)। সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendushekhar Roy) তাঁর চিঠিতে তদন্তের দাবি তুলেছেন।

চেয়ারম্যানকে দেওয়া চিঠিতে দিয়ে বলেছেন, “তৃণমূলের পক্ষে বক্তা ছিলেন না দীনেশ, সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও চার মিনিট ধরে বক্তব্য রাখলেন তিনি। বাজেট আলোচনায় অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ। চেয়ারম্যান সেটা থামাতে পদক্ষেপ নেননি। দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার অপব্যবহার করেছেন। তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ অপব্যবহার করেছেন। অবিলম্বে এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”

মৌখিকভাবে অবশ্য আগেই এব্যাপারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। সুখেন্দু আগে জানিয়েছিলেন, রাজ্যসভায় তাঁদের প্রতিনিধিদের বলার সময় শেষ হয়েছিল। সময় পেয়ে ওষুধ খাওয়ার জন্য তিনি বাইরে যান। সুখেন্দু অনুপস্থিত থাকাকালীন সংসদ কক্ষে দীনেশ ঢুকেছিলেন বলে দাবি। রাজ্যসভায় ঢুকে সময় চান দীনেশ। তা মঞ্জুরও করে দিয়েছিলেন চেয়ারম্যান। আর এরপরেই কার্যত বিস্ফোরণ।

তৃণমূলের অভিযোগ এখানেই। সংসদ কক্ষে তখন চলছিল বাজেট সম্বোধীয় আলোচনা। সেই সময় কেন বলতে দেওয়া হল ত্রিবেদীকে? তিনি বক্তব্য শুরু করার পরেই তো বোঝা গিয়েছিল যে তাঁর ভাষণ বাজেট বা দেশের কোনও বিষয় নয়। তাহলে আগেই কেন থামালেন না চেয়ারম্যান? দীনেশ ত্রিবেদী বক্তব্য রেখেছিলেন প্রায় চার মিনিট।


আরও পড়ুন:কোনও ভারতীয় এই দিনটি ভুলতে পারবেন না : পুলওয়ামা হামলায় সৈনিকদের শ্রদ্ধা মোদির

দীনেশ ত্রিবেদী চলে যাওয়ার পর আসন্ন নির্বাচনের আগে তৃণমূলের যে আদৌ কোনও ক্ষতি হয়নি তা মনে করছেন অনেকেই। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘উনি কী কাজ করেছিলেন আপনারাই তা খুঁজে বের করে দেখুন’। সুখেন্দু অভিযোগ তুলেছিলেন, যথারীতি নোংরা রাজনীতি চালাচ্ছে বিজেপি। চলছে ঘোড়া কেনাবেচার খেলা। এভাবে আর যাই হোক তৃণমূলকে ভাঙা যাবে না।
