জোট চুলোয় যাক, নিজ গড়ে আব্বাসকে একটি আসনও ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস

রাজ্য রাজনীতির আঙিনায় সদ্য পা রাখা আব্বাস সিদ্দিকীর(Abbas Siddiqui) দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের(ISF) দাবীদাওয়া অনেক। বাম কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে এবারের নির্বাচনে লড়বে তারা। তবে আইএসএফের আবদার সামলাতে কার্যত নাকাল হতে হচ্ছে জোটের বাকি দুই শরিককে। গত বৃহস্পতিবার আসন তালিকা দিয়ে কংগ্রেসকে ‘আল্টিমেটাম’ দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল। সেখানে তাদের দাবির যে ফিরিস্তি তুলে ধরা হয়েছে তা দেখে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আব্বাসের দাবি কোনওভাবেই মানা সম্ভব নয়। শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের নিজ গড় মালদা-মুর্শিদাবাদে আইএসএফকে একটি আসনও ছাড়তে নারাজ কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে কংগ্রেস নারাজ হলেও আব্বাসের দলের প্রতি কিছুটা সদয় বামেরা(Left)।

জানা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে জোটের কাছে এবার অন্তত ৫০ টি আসন দাবি করেছে আব্বাস সিদ্দিকীর দল আইএসএফ। এই তালিকায় মালদা মুর্শিদাবাদে(Murshidabad) কংগ্রেসের একাধিক জেতা আসনও দাবি করেছে তারা। তালিকায় রয়েছে সুজাপুর পশ্চিম ( গনির কেন্দ্র নামে পরিচিত)। পাশাপাশি, মোহিত সেনগুপ্ত, মিল্টন রশিদদের জেতা আসনও দাবি আব্বাসদের। তবে তাদের এহেন দাবি মানতে একেবারেই নারাজ কংগ্রেস।আলিমুদ্দিনের কাছে কংগ্রেস নেতৃত্ব স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে কোনওভাবেই তাদের পক্ষে মালদা মুর্শিদাবাদের আসন ছাড়া সম্ভব নয়। মালদা মুর্শিদাবাদ ছাড়া অন্য জায়গায় আইএসএফকে ৮ টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। পাশাপাশি আলিমুদ্দিনে একের পর এক বৈঠকে আব্বাসের অনুপস্থিতির জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেস।এই ঘটনাকে আব্বাসের ঔদ্ধত্য হিসেবে দেখছে তারা।

আরও পড়ুন:ভোটের মুখে তৃণমূলের নতুন স্লোগানের উদ্বোধন আজ

এদিকে বাম নেতৃত্ব আব্বাস সিদ্দিকির প্রতি এতটাই নরম ভাবাপন্ন মনোভাব নিয়েছে যে জলঙ্গির জেতা আসনও এবার তাদের ছেড়ে দিতে রাজি। ৫০ টি আসনের দাবি রাখা আইএসএফকে ৩০ থেকে ৩৫ আসনের মধ্যে বেঁধে ফেলতে চায় বামেরা। এই তালিকা ইতিমধ্যেই আব্বাসকে নিজেদের থেকে ২৭ টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে বাম নেতৃত্ব। সিপিএম একাই দিচ্ছে ২০টি আসন। বাকি ৭টির মধ্যে রয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লকের ৪টি, আরএসপি-র ২টি ও সিপিআই(CPI) ১টি আসন। বাম নেতৃত্তের এহেন সিদ্ধান্তে কার্যত ক্ষুব্ধ শরিকরা। এমন পরিস্থিতির মাঝেই শনিবার আর এক দফা বৈঠকে বসতে চলেছেন বিমান বসু ও প্রদীপ ভট্টাচার্য।