Tuesday, August 26, 2025

গভীররাতে হরিশ্চন্দ্রপুরের স্কুলে ভূতুড়ে শব্দ! মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ

Date:

মধ‍্যরাতে স্কুলে ভূতুড়ে আওয়াজ। আতঙ্ক মালদহের (Maldah) হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা হাইস্কুলের৷ রাত নামলেই স্কুলে শোনা যাচ্ছে গমগম শব্দ৷ কখনও মনে হচ্ছে, কেউ নূপুর পায়ে হেঁটে চলেছে স্কুলের বারান্দায়, চলছে নৃত‍্য। কখনও প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের আর্তনাদের শব্দ। কখনও বা একসঙ্গে একাধিক পদচারণা। স্কুলের এক প্রাক্তন অস্থায়ী কর্মীও নাকি ওই ঘটনার সাক্ষী৷ এবার সরস্বতীপুজোয় এর সাক্ষী না কি স্কুলের কয়েকজন পড়ুয়ারা৷ তারা সেই আওয়াজ রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) ছড়িয়ে দিয়েছে৷ তারপর থেকেই তীব্র আতঙ্কে স্কুলের (School)পড়ুয়ারা-সহ গোটা এলাকা৷ যদিও স্কুলের গায়ে ভূতুড়ে গল্পের তকমা লাগাতে নারাজ স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এসব ছাত্রদেরই মজা বলে মন্তব্য পঞ্চায়েতের উপপ্রধানেরও৷

সরস্বতীপুজো উপলক্ষ্যে ক’দিন আগে স্কুলেই রাত কাটিয়েছিল জনাকয়েক ছাত্র৷ গভীর রাতে তারা না কি শুনতে পায়- স্কুলের বারান্দা দিয়ে কেউ নূপুর পায়ে হেঁটে যাচ্ছে৷ তারা সেই আওয়াজ ফোনে রেকর্ড করে পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়৷ তাদের দাবি, স্কুলে ভূত রয়েছে৷ একই দাবি করেন স্কুলের অস্থায়ী কর্মী মকসুদ আলিও (Maksood Ali)৷

স্কুলের অস্থায়ী কর্মী মকসুদ আলি বলেন, “গভীর রাতে এখানে মেয়েদের পায়ের নূপুরের আওয়াজ শোনা যায়৷ কখনও ছেলের গলায় কান্নার আওয়াজও শোনা যায়৷ রাত ১২টার পর যে কেউ স্কুলে এলে তা শুনতে পাবে৷ সরস্বতীপুজোয় রাত কাটাতে এসে ছেলেরাও এর সাক্ষী থেকেছে”৷

যদিও প্রধান শিক্ষক মহম্মদ হাসিব (Md Hasib) জানিয়েছেন, সরস্বতীপুজোয় স্কুলে রাত কাটাতে এসে ছাত্রদের কেউ হয়তো এনিয়ে মজা করেছে৷ তারা অন্য কোথাও এমন শব্দ রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে৷ এর তদন্ত শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ৷ এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই৷ এর আগে স্কুলে ভোটকর্মীরা রাত কাটিয়েছেন৷ বন্যার সময় প্রায় এক সপ্তাহ স্থানীয় বাসিন্দারা স্কুলে ছিলেন৷ এছাড়াও রাতে স্কুলে অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে৷ কখনও এসব নিয়ে কোনও কিছু শোনা যায়নি৷ পড়ুয়াদের আতঙ্ক কাটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷ প্রয়োজনে বিজ্ঞান মঞ্চকেও কাজে লাগানো হবে৷

একই বক্তব্য কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ নুর আজমের৷ তিনিও জানান, করোনা আবহে এই স্কুলেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছিল৷ তখন তাঁরাও গভীর রাত পর্যন্ত স্কুলে থাকতেন৷ ভোটের সময় ভোটকর্মী, নিরাপত্তা রক্ষীরা স্কুলেই রাত কাটান৷ কেউ কখনও এসব দেখতে পাননি৷ গ্রামবাসীরাও এনিয়ে কখনও কোনও অভিযোগ করেননি৷ সম্ভবত ছাত্ররা মজা করার জন্যই এসব করেছে৷

বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে পরিদর্শন করা হবে স্কুল। এছাড়াও স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, প্রমাণ হলে আইনত ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন- ‘রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনকে রাজনীতির মঞ্চ বানালেন ধনকড়

 

Related articles

রাজ্য ছাত্র ভোটে বাধাও দেয়নি, হাই কোর্টের শুনানিতে স্পষ্ট অবস্থান জানালেন আইনজীবী কল্যাণ

রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। ছাত্র সংসদের (Student Union) ভোটে কখনও বাধা দেয়নি রাজ্য।...

বনতারায় কতটা সুরক্ষিত পশুরা: জানতে SIT গঠন সুপ্রিম কোর্টের

বিপদগ্রস্ত পশুদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নজর কাড়ার চেষ্টা চালিয়েছিল গুজরাটের বনতারা (Vantara)। এবার প্রশ্ন উঠেছে সেখানে দেশের ও...

কীভাবে দুর্নীতিবাজদের সমর্থন করতে হয় মোদিকে দেখে শিখুন! তীব্র কটাক্ষ তৃণমূলের

দুর্নীতিগ্রস্তদের পাশে বসিয়ে বাংলায় এসে বড় বড় কথা বলে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দুর্নীতিবাজদের সঙ্গে সর্বক্ষণ...

ট্রাম্পের শুল্কবাণে অস্থিরতা শেয়ার বাজারে! পড়ছে সেনসেক্স-নিফটি

আমেরিকার(USA) ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঠিক একদিন আগেই ধরাশায়ী শেয়ার বাজার(Share Market)। দেশের শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধস। দুপুর...
Exit mobile version