নন্দীগ্রামে বাম-কং জোটের প্রার্থী তাঁর পরিবারের কেউ, ঘোষণা আব্বাস সিদ্দিকি’র

শিরোনামে নন্দীগ্রাম ৷

শরিক আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ-কে (ISF) ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রাম আসন ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছে বাম-কং জোট৷

আর শুক্রবার আব্বাস সিদ্দিকি (Abbas Siddiqui) নিজেই জানালেন, আসন্ন বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রাম (Nandigram) আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সিদ্দিকি পরিবারের কেউ একজন প্রার্থী হচ্ছেন। তবে এদিন প্রার্থীর নাম তিনি বলেননি৷

বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের (Left & congress) জোটে সামিল হয়েছে ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট৷ বামেদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি সম্পূর্ণ ৷ বামেরা ISF-কে ৩০ আসন ছেড়েছে৷ কংগ্রেসের কাছ থেকে ২৫-৩০ আসন পেলেই সন্তুষ্ট আব্বাস৷ এদিন এমনই জানিয়েছেন তিনি নিজে৷
বামেরা যে আসনগুলি ISF-কে ছেড়েছে তার অন্যতম নন্দীগ্রাম ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের এই আসনটিতে দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই করছে ফ্রন্ট শরিক সিপিআই। একাধিক বৈঠকের পর ফ্রন্ট শরিক সিপিআই নন্দীগ্রাম আসন আব্বাসের ISF-কে ছেড়ে দিয়েছে৷

এদিন, এক সাংবাদিক বৈঠকে আব্বাস সিদ্দিকি বলেছেন, নন্দীগ্রাম আসনে তাঁর দল লড়াই করবে। আর এরপরই তিনি বলেন, “নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে জোটের ISF প্রার্থী দিচ্ছে। আমার পরিবারের খুব ঘনিষ্ঠ একজন সদস্য নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে আগ্রহ দেখিয়েছে। সে এই ব্যাপারে খুব ‘সিরিয়াস’। মনে হয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তার কিছু ক্ষোভ রয়েছে। তাঁকেই প্রার্থী করা হবে”৷

প্রসঙ্গত, এই নন্দীগ্রাম কেন্দ্রেরই বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ( Suvendu Adhikary)৷ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে শুভেন্দু ইস্তফা দেন বিধায়ক পদ থেকে৷

আর তার পরই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা এক জনসভায় দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।

এই ঘোষণার পরই নন্দীগ্রামে মমতা- শুভেন্দুর দ্বিমুখী লড়াইয়ের আবহ তৈরি হয়৷ আর তার মাঝেই
বাম-কংগ্রেস মহাজোটের তরফে আব্বাস সিদ্দিকির চমকপ্রদ ঘোষণা, “নন্দীগ্রাম আসনে প্রার্থী হবেন তাঁর ‘পরিবারের কেউ”।

আরও পড়ুন- করোনার জেরে পরীক্ষা হয়নি, সরকারি হাসপাতালে ইন্টার্ন সংকট

Advt

Previous article‘কার সুবিধার জন্য বাংলায় ৮ দফা ভোট?’ প্রশ্ন তুললেন মমতা
Next articleবাংলায় আট দফায় নির্বাচনকে কটাক্ষ চিরঞ্জিতের