ভোটের (Assembly Election) আগেই বিজেপি (BJP) নেতা আনিসুর রহমানের (Anisur Rahaman) বিরুদ্ধে মামলা (Case) প্রত্যাহার (Withderw) করল রাজ্য সরকার (State Government)। তৃণমূল (TMC) নেতা কুরবান শাহ খুনের অভিযোগে জেলে ছিলেন তিনি। এবার কি তাহলে প্রাক্তন তৃণমূলে নেতার “ঘর ওয়াপসি”? রাজনৈতিক মহল অন্তত তেমনটাই মনে করছে।

আরও পড়ুন-পাখির চোখ বাংলা, শিবরাজের পর কাল মালদহে যোগীর সভা
পাঁশকুড়া পুরসভার (Panshkura Municipality) চেয়ারম্যান নির্বাচনকে (Chairman Election) কেন্দ্র করে একটা সময় তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় এই দাপুটে নেতার। সৌজন্যে তৎকালীন শাসক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)। শুভেন্দু-বিরোধী বলে পরিচিত বলেই সেই সময় এই নেতার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় শাসক দলের। পরে বিজেপিতে যোগ দেন আনিসুর।

ঘটনাক্রমে ২০১৯ সালে দুর্গা পুজোর নবমীর দিন রাতে খুন হন পাঁশকুড়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি কুরবান শাহ। এই মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বিজেপি নেতা আনিসুরের নাম। গ্রেফতার হন তিনি। সেই আনিসুরের বিরুদ্ধেই আজ, সোমবার সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করে নিল রাজ্য সরকার। জেল থেকে বেরিয়েই তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। এবং যদি সেটা হয়, তাহলে নিজের গড়েই ব্যাপক চাপে পড়ে হবেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বাম আমলে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি এ নিয়ে কার্যত তরজায় জড়িয়েছে সেখানকার প্রাক্তন বিধায়ক শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। এই প্রেক্ষিতে গত জানুয়ারি মাসে নন্দীগ্রামের তেখালির জনসভা থেকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করার সময়ই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে আসে আনিসুরের নাম। সেই সময় মমতা বলেছিলেন, ‘‘আনিসুরকে অত্যাচার করে জেলে রেখে দিয়েছে। পাঁশকুড়ার ছেলে আনিসুর, তাকে বললাম তোর স্কুটার বা বাইক আছে? কী করব বললাম না। বাইকে করে আমি আর ও বেরিয়ে পড়লাম।’’ পরোক্ষে মমতার নিশানায় ছিলেন দলত্যাগী শুভেন্দু। সেদিনই স্পষ্ট হয়ে গেছিল, শুভেন্দুর “চক্রান্ত”-এ জেলে গিয়েছিলেন আনিসুর। এবং সেই চক্রান্ত থেকেই এবার তাঁকে মুক্তি দিল রাজ্য সরকার!
