আব্বাসউদ্দিন-ইস্যুতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরিকে (adhir chowdhury ) কড়া বার্তা দিলেন প্রবীণ AICC নেতা আনন্দ শর্মা (ananda sharma)। সঙ্গে সঙ্গেই অধীরবাবু ওই ‘কঠোর’ বার্তা উড়িয়ে দিয়েছেন৷

আনন্দ শর্মা সোমবার এক ট্যুইটে কঠোর ভাষায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির কৈফিয়ত তলব করে বলেছেন, “ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির উপস্থিতি লজ্জাজনক। ওনাকে জবাব দিতে হবে।”
Congress cannot be selective in fighting communalists but must do so in all its manifestations, irrespective of religion and colour. The presence and endorsement West Bengal PCC President is painful and shameful, he must clarify.
— Anand Sharma (@AnandSharmaINC) March 1, 2021
একইসঙ্গে জানতে অধীরবাবুর কাছে জানতে চেয়েছেন, “আব্বাসউদ্দিনের (abbasuddin) দলের সঙ্গে কী সমঝোতা করেছে প্রদেশ নেতৃত্ব? যদি করে থাকে, তাহলে সেই সমঝোতার অনুমোদন কী হাইকমান্ড দিয়েছে?” একইসঙ্গে শর্মা প্রশ্ন করেছেন, ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে জাতীয় কংগ্রেস এবং প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান ভিন্ন কেন?

আরও পড়ুন-মেদিনীপুরের দাপুটে নেতা আনিসুরের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার, চাপে শুভেন্দু

কার্যত কৈফিয়তের সুরে এই প্রশ্নগুলোর জবাব চেয়ে এদিন ট্যুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা৷ ট্যুইটে শর্মা লিখেছেন, ” ISF বা ওই ধরনের কোনও দলের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা আসলে গান্ধীবাদ এবং নেহেরুবাদ তথা ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী। কংগ্রেসের মূল আদর্শের সঙ্গে এই ধরনের সমঝোতা খাপ খায় না। এ ব্যাপারে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করা কংগ্রেস এধরনের কাজ করতে পারে না।”

কড়া ভাষায় শর্মা বলেছেন, “ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির উপস্থিতি লজ্জাজনক। ওনাকে জবাব দিতে হবে।”

আনন্দ শর্মা কড়া ভাষায় এ সব কথা বললেও ওই ট্যুইটকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন অধীর চৌধুরি। তিনি বলেছেন, “আনন্দ শর্মা কার তামাক খাচ্ছেন? কেন ওকে জবাব দেব? আমি যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা সবই শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমোদনে নিয়েছি। আনন্দ শর্মাদের মতো কিছু লোক দলে থেকে কংগ্রেসের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে। মানুষ ওদের চিনে নিচ্ছে।”

প্রসঙ্গত, রবিবারের ব্রিগেড সমাবেশে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা ছাড়াও কেন্দ্রীয়স্তরে হাজির ছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং AICC নিযুক্ত বাংলার পর্যবেক্ষক জিতিন প্রসাদ। প্রদেশ নেতাদের একাংশের বক্তব্য, দিল্লির পাঠানো ওই দুই নেতা আব্বাসউদ্দিন সিদ্দিকির উপস্থিত নিয়ে ওয়াকিবহাল ছিলেন না, এটা হতেই পারে না।
