ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে কেন মোদির মুখ? স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে জবাব চাইল কমিশন

রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশ হয়ে গিয়েছে আগেই, তারপরও করোনা ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গেই নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল(TMC)। সেই ঘটনায় এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের(health ministry) কাছে জবাবদিহি করল নির্বাচন কমিশন(election commission)।

নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণ বিধি। সেখানে কোন সরকারি প্রকল্পে নেতা-নেত্রীদের ছবি প্রকাশ করা যায় না। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হোন বা প্রধানমন্ত্রী। অথচ বাংলায় আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও করোনা টিকার শংসাপত্র এমনকি পেট্রোল পাম্প ও একাধিক সরকারি প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে চলতি সপ্তাহে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন ফিরাদ হাকিমের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের একটি প্রতিনিধিদল। অভিযোগ পাওয়ার পর গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে কমিশন। এরপর বুধবারই রাজ্য সমস্ত পেট্রোল পাম্প থেকে মোদির ছবি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছ থেকেও এ নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট তলব করা হয়। এর পর এবার আদর্শ আচরণবিধি উপেক্ষা করে করোনা টিকার সার্টিফিকেট মোদির ছবি কেন ব্যবহার করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকের কাছে তার জবাব চাইল কমিশন।

আরও পড়ুন:এক নজরে ২৯১ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা

উল্লেখ্য, আদর্শ আচরণ বিধি লংঘনের অভিযোগ তুলে একেবারে শুরুতে টুইট করে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে। তিনি লেখেন, ‘ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর ছবি করোনা টিকার নথিতে ব্যবহার করা হচ্ছে নির্লজ্জের মতো।’ পাশাপাশি বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই ভোট প্রচারে বিজেপির মুখ। তিনিই জনসভায় গিয়ে দলের সমর্থন চাইছেন। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেটে মোদীর মুখ ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করা চেষ্টা চলছে।’ যদিও এই ঘটনায় ভুল কিছু দেখছেন না রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। সরকারি প্রকল্প যদি ভোটের আগে ঘোষণা হয়, তাহলে সেটা ভোট ঘোষণার পরও বজায় থাকে। নির্বাচন কমিশনের বিষয়টা দেখা উচিৎ।’

Advt

Previous articleএক নজরে ২৯১ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা
Next articleকরোনার টিকা নিলেন জয় গোস্বামী