শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, ক্ষোভ ভুলে প্রচারে ঝাঁপানোর বার্তা সদর দফতর থেকে

কিশোর সাহা : ওমপ্রকাশ মিশ্রকে নিয়ে শিলিগুড়ির তৃণমূল নেতাদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করায় দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরক্ত বলে দল সূত্রের খবর। আজ, শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়িতে পৌঁছনোর কথা। তার আগে ওই ক্ষুব্ধ নেতাদের কাছে দলের শীর্ষ নেতাদের একজন বার্তা পাঠিয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দলনেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে ওমপ্রকাশ মিশ্রকে জেতাতে একজোট হয়ে নেমে পড়তে হবে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বার্তা পেয়ে ক্ষুব্ধ নেতারা আপাতত মুখ বন্ধ রেখে মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা ও সমাবেশ সফল করতে আসরে নেমে পড়েছেন।

শিলিগুড়ির হাসমি চকে মুখ্য়মন্ত্রীর পদযাত্রা শেষ হবে। সেখানে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ।

সব ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার দিন শিলিগুড়িতে পদযাত্রা ও সভা করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সে জন্য আজ, শনিবারই শিলিগুড়ি পৌঁছবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই ঘাসফুলের পতাকায় সাজছে শিলিগুড়ি। পুলিশ-প্রশাসনের অন্দরেও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপরতা তুঙ্গে। গোটা শহরের চার দিকে নাকা তল্লাশি শুরু হয়ে গিয়েছে। শিলিগুড়ির হাসমি চকে ছোট মাপের মঞ্চও করা হচ্ছে। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সমতলের জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার তথা রাণাবাবুকে দেখা গেল, সকাল থেকেই শহরের এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটাছুটি করছেন।

আরও পড়ুন-বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাতেই অনলাইনে মনোনয়ন পেশ করা যাবে না !!

দলের খবর অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী শনিবার বিকেলে শিলিগুড়ি পৌঁছে সেবক রোডের আড়াই মাইলের একটি হোটেলে থাকতে পারেন। রাতে শিলিগুড়ির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলতে পারেন। ওমপ্রকাশবাবুও তাঁর সঙ্গে পৌঁছনোর কথা। পরদিন, রবিবার সকালে মহানন্দা সেতু লাগোয়া এয়ারভিউ মোড় থেকে হাসমি চক অবধি প্রায় ২ কিলোমিটার তাঁহর পদযাত্রা হওয়ার কথা। হাসমি চকেই একটি মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিতে পারেন তিনি। বিকেলেই তিনি কলকাতায় ফিরবেন।

ঘটনা হল, ওমপ্রকাশ মিশ্রকে শিলিগুড়ি কেন্দ্রে প্রার্থী করতেই তৃণমূলের কযেকজন নেতা প্রকাশ্যে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভাইস চেয়ারম্যান নান্টু পাল শুক্রবার ক্ষোভ ও হতাশা জানিয়ে বলেছেন, রবিবার তিনি দলের একাংসের সঙ্গে বসে পরের পদক্ষেপ ঠিক করবেন। তাঁর সাফ কথা, অতীতে বাইচুং ভুটিয়াকে প্রার্থী করে হারতে হয়েছিল। এবারও ওমপ্রকাশ মিশ্রকে প্রার্থী করায় দলের অনেকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ বলে নান্টুবাবু মনে করেন। তৃণমূলের অনেকে জানান, গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের ৮ আসনের মধ্যে সাতটি বিজেপি পেয়েছে এবং একটি যে কংগ্রেসের দখলে গিয়েছে সেটা মাথায় রেখে স্থানীয়দের বিধানসবা এলাকায় প্রার্থী করার কথা ভাবা উচিত ছিল। শুধু তা-ই নয়, ক্ষোভের আঁচ পেয়েই বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে বিজেপিও ভোটের মুখে টানতে আসরে নেমেছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীর দেড়দিনের সফরে যাবতীয় ক্ষোভ প্রশমিত হবে নাকি বেসুরো নেতারা অন্য দলের দিকে ঝুঁকবেন সেটাই দেখার বিষয়।

Advt

Previous articleবাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাতেই অনলাইনে মনোনয়ন পেশ করা যাবে না !!
Next articleতৃণমূল-‘অভিমানী’-দের ভিড় বাড়ছে গেরুয়া দরবারে