Sunday, August 24, 2025

সাফল্যের মাঝেও আক্ষেপের সুর দেশের প্রথম মহিলা ফায়ার ফাইটার তানিয়ার গলায়

Date:

যুদ্ধ করতে হবে৷ তবে সেটা মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নয়৷ এই যুদ্ধ আগুনের সঙ্গে৷ আর সেটা যদি হয় এয়ারপোর্টে তাহলে তা আরও চ্যালেঞ্জিং৷ এমনই একটি চ্যালেঞ্জ নেন কলকাতা দমদমের বাসিন্দা তানিয়া সান্যাল৷ তিনি যখন এই চ্যালেঞ্জটি নিয়েছিলেন তখনও আগুনের সঙ্গে যুদ্ধ করার মতো দমকলবাহিনীতে কোনও মহিলা অফিসার ছিল না৷ এখন তিনি নিজেই আইকন। তানিয়া এয়ারপোর্ট অথরিটির দমকলবাহিনীর প্রথম মহিলা অফিসার৷
তানিয়া জানান, এটি আমার জন্য গর্ব এবং সম্মানের। আমি ছোটবেলা থেকেই চ্যালেঞ্জিং কিছু করতে চেয়েছিলাম৷ আমার স্বপ্ন সফল করতে সবসময় আমার পরিবার সহযোগিতা করেছে৷ ঝুঁকির কাজ জেনেও আমাকে বাধা দেয়নি৷ কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই আমি আমার সহকর্মীদের সহযোগিতা পেয়ে আসছি৷ উৎসাহ দিয়েছেন আমার ঊর্ধ্বতন অফিসাররা৷

ছোটবেলায় তাঁর জীবন ছিল আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে স্বপ্ন দেখতেন নতুন কিছু করে দেখানোর। সেই জন্যেই ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দিয়েছিলেন সদ্য যৌবনে পা দেওয়া বাঙালি কন্যা। মাসের পর মাস কঠিন ট্রেনিং, অবশেষে সাফল্য।
তানিয়া বলছেন, ‘এই সুযোগটার কথা প্রথম জানতে পারি খবরের কাগজ দেখে। পেশাটা জেনে মনে হয়েছিল এটা নতুন কিছু। খুব আকর্ষণীয় লেগেছিল কাজটা। তখনও বুঝতে পারিনি আমার জন্য এত বড় চমক অপেক্ষা করছে। দিল্লির ফায়ার ট্রেনিং সেন্টারে আমার ট্রেনিং চলেছিল ৫ মাস ধরে। আর সেখানে গিয়েই জানতে পারি, আমিই প্রথম মহিলা ফায়ারফাইটার হতে চলেছি। সমস্ত পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ শিখেছি, কাজ করেছি। সেটাই বোধহয় আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় স্মৃতি।’
ছোটবেলায় কখনও ফায়ারফাইটার হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি তানিয়া। সেজন্যই কখনও কোনও ট্রেনিং করেননি। কিন্তু বাড়ি থেকে সবসময় সাহায্য পেয়েছিলেন তিনি। তানিয়া বলছেন, ‘আমার বাবা-মা সবসময় বলতেন, যেটা স্বপ্ন দেখো, সেটা পূরণ করো। আমার প্রত্যেক পদক্ষেপে বাড়ির সবাইকে পাশে পেয়েছি। আর পরীক্ষার আগে দিদি আমায় খুব সাহায্য করেছিলেন। ভুবনেশ্বরে আমার পরীক্ষা হয়েছিল। প্রস্তুতির জন্য আমায় দিদি ভীষণ সাহায্য করেছিলেন। ওই আমার প্রথম র্ট্রেনার।’
তারপর বললেন, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা হচ্ছেন রাঙাদিদা। কিন্তু আমি যেদিন পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলাম, সেদিনই রাঙাদিদা মারা যান। ওঁকে আর বলা হল না, আমিও পেরেছি, আমিও করে দেখিয়েছি।’

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version