মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত, অভিযোগ তুলে কমিশনে তৃণমূল

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য ৯ সদস্যের দল গঠিত হয়েছে। গতকাল রাতে এমআরআই-এর পর পায়ে সাময়িক প্লাস্টার করা হয়েছে। দ্রুত সেরে ওঠার জন্য শুরু হয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক। পায়ের ফোলা ভাব কমলে আজ বিকেলের দিকে প্লাস্টার করা হতে পারে। আঘাত লেগেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান কাঁধ ও কনুইয়ে।
নন্দীগ্রামে মনোনয়ন পেশের দিনই আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । চক্রান্তের অভিযোগ তুলে আজ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দ্বারস্থ হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার সাংবাদিকদের তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সুষ্ঠুভাবে, সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রেখে কাজ করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করার পরই কমিশন পুলিশের এডিজিকে (আইন শৃঙ্খলা) অপসারিত করল। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়ার পর ডিজিকে অপসারিত করা হল। সবচেয়ে লক্ষণীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের একমাত্র মুখ্য়মন্ত্রী, তাঁর উপর আক্রমণের পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাফ কথা , “বিজেপির বক্তব্যে এটা স্পষ্ট ছিল যে তাঁর উপর আক্রমণ হতে পারে। তা সত্বেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় তাঁর উপরে যে আক্রমণ হল সেই দায়িত্ব কার? আইনশৃঙ্খলা আজকে অবনতির দিকে নিয়ে যাওয়ার এবং  রাজ্যে রাষ্ট্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত পুলিশ শাসনের যে চেষ্টা হচ্ছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছি। পুলিশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে । বিপদের দিনেও প্রশাসন পাশে আসতে ভয় পাচ্ছে।
তার প্রশ্ন, বাংলাকে উপেক্ষা কেন? বাংলাকে রাষ্ট্র শক্তি দিয়ে, সেই রাজ্যের নেত্রীর উপর কেন আক্রমণ? আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশন নিয়েছে, তারপর রাষ্ট্রবাদের নতুন উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তার দায় নির্বাচন কমিশনকে নিতেই হবে। তারা যেভাবে চালাচ্ছেন, ভয় ভীতি সন্ত্রাসের সৃষ্টি করছে। বিজেপি দল এসে যা বলছে, পরের দিন সেটাই হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই ঘটনার অবিলম্বে ব্যবস্থা নেবে বলে আশাবাদী আমরা।

Previous articleকালীমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু কাঞ্চনের
Next articleসেনার তৎপরতায় উপত্যকায় বানচাল ফিদায়েঁ হামলার ছক, গ্রেফতার ১ জঙ্গি