সলিল চৌধুরীর সেই ”পথে এবার নামো সাথী ,পথেই হবে পথ চেনা”র গানের তালে বিপ্লব ঘটিয়েছিল বামেরা (Leftfront)। কিন্তু এখন বামেদের সেই রামও নেই, নেই সেই অযোধ্যা। অর্থাৎ, আদর্শের নিকুচি করেছে, রক্ষণশীল মনোভাব থেকে বেরিয়ে মার্কেট ডিমান্ড বুঝতে হবে। ভোট বড় বালাই।

যুগ বদলেছে। আর যুগ বদলের সঙ্গে বদলেছে সুর-লয়, মাত্রা ও তাল। দলবদল নয়, বরং দিন বদলের স্বপ্ন ফেরি করে সেই বদলের বার্তাই দিচ্ছে সিপিএম। বাম ব্রিগেডের আগে ”টুম্পা গান” (Tumpa Parody) ভাইরাল হয়েছে। বামেদের নবীন প্রজন্ম গ্রহণ করেছে “টুম্পা সোনা”-কে, আরও প্রবীণ প্রজন্ম তাকে মদত দিয়েছে। মোটকথা, খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে বামেরা।


বিধানসভা ভোটের (Assembly Election) প্রার্থী তালিকাতেও তারুণ্যের জয়গান। সৃজন, প্রতীক উর, মীনাক্ষি, ঐশী, শতরূপদের প্রার্থী করেছে আলিমুদ্দিন। এবার মোদি-দিদিকে বিঁধতে এল আরও একটা প্যারোডি। ”লুঙ্গি ডান্সে”র (Lungi Dance Parody) তালে ”হাল ফেরাও লাল ফেরাও।”

ব্রিগেডের সভার আগে বামেদের “টুম্পা ব্রিগেড চল” প্যারোডি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল। বিতর্কের মধ্যেই তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ভোট বঙ্গে এবার বামেদের নয়া নিবেদন ”লুঙ্গি ডান্স”-এর প্যারোডি। ”হাল ফেরাও লাল ফেরাও” গানে ফের এবার যুব সমাজের মন ছোঁয়ার চেষ্টা করল সিপিএম (CPM)।


এ বার লুঙ্গি ডান্সের সুরে নতুন প্যারোডি নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও পুরনোপন্থি অনেক বামেরা বিষয়টি ভাল চোখে নিচ্ছে না। তবে ভোটের প্রচারে প্যারোডি বাধা থামছে না। লুঙ্গি ডান্সের সুরে সুর মিলিয়ে এ বার গাওয়া হয়েছে, ‘হাল ফেরাও লাল ফেরাও’। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র নিজেও তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করেছেন এই গান। যা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।

ভোটের আগে ”বেলা চাও”-র সুরে বিজেপির ”পিসি যাও” নজর কেড়েছে। তবে টুম্পার জনপ্রিয়তা ছুঁতে পায়নি সেটি। এই ‘হাল ফেরাও লাল ফেরাও” জনপ্রিয়তায় নতুন রেকর্ড গড়তে চলেছে বলে দাবি সিপিএম নেতৃত্বের।
