পৌনে দুটো নাগাদ মেয়ো রোডে পৌঁছন মমতা। সেখানে গাড়ি থেকে নেমে নীল-সাদা রঙের বিশেষ ভাবে তৈরি হুইলচেয়ারে (Wheelchair) বসেই যান গান্ধী মূর্তির সামনে। সেখান থেকেই মিছিল শুরু হয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পায়ে ছিল বিশেষ জুতো। হুইলচেয়ারের ফুট রেস্টটিকে সোজা করে রাখা হয়। যাতে তাঁর বাঁ পা ঝুলিয়ে রাখতে না হয়। প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মিছিল।
নন্দীগ্রামের ঘটনার পরে অত্যন্ত সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। এদিন মিছিল ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। মিছিল ঘিরে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মিছিলের যাওয়ার পথে বিভিন্ন জায়গা গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়।
মিছিলের সামনে তৃণমূলনেত্রীর পাশেই ছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishesk Benarjee), অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas)-সহ দলের সামনের সারির নেতানেত্রীরা। ছিলেন কলকাতার বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীরাও। মিছিলে যোগ দেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরাও। মিছিলে ছিলেন টালিগঞ্জের কলাকুশলীরাও। এমনিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়। এদিন একাধিক অ্যাম্বুল্যান্সের (Ambulance) ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল।
সবচেয়ে যে ঘটনায় এদিন চোখে পড়েছে তাহলে মিছিলের গতি। সাধারণত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে হাঁটেন। মিছিলে তাঁর সঙ্গে পা মেলাতে রীতিমতো হিমশিম খান অনেক নেতা-নেত্রীই। কিন্তু এদিন হুইলচেয়ারে নেতৃত্ব দেন মমতা। তাই অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক ধীরগতিতে মিছিল এগিয়েছে। পদযাত্রা শেষে হাজরার জনসভায় সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন তৃণমূলনেত্রী। সভা শেষ করেই দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মমতা। সেখানে এদিন রাতে থেকে সোমবার পুরুলিয়া যাবেন- নিজেই জানান তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন:বিজেপির প্রার্থী তালিকায় ৪ দলীয় সাংসদ