কোটি কোটি টাকার টেন্ডার ডেকে বিজেপির টিকিট বিক্রি হয়েছে!” চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শ্যামাপ্রসাদের

২০১১ সালে রাজ্যে রাজনৈতিক পালা বদলের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) তাঁকে মন্ত্রী করেছিলেন। জেলার সাংগঠনিক শীর্ষ পদেও ছিলেন তিনি। ২০১৬ সালে তুমুল মমতা ঝড়েও জিততে পারেননি। এবার টিকিট পাবেন না বুঝেই তৃণমূল (TMC) ও নেত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্ক ছেদ করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বাঁকুড়ার নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় (Shyamaprasad Mukherjee). অনুঘটকের কাজ করেছিলেন “দলবদলুদের নেতা” শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikary)

কিন্তু দু’মাসেই মোহভঙ্গ। যে আশায় তিনি নাম লিখিয়ে ছিলেন বিজেপিতে, সেই আশা অর্থাৎ ভোটে টিকিট না পেয়ে পদ্ম শিবির ছেড়ে ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন শ্যামাপ্রসাদবাবু। শুধু তাই নয়, কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে বিজেপির টিকিট বিক্রি হয়েছে হলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি এখন উত্তাল। তাঁর কথায়, “সাড়ে তিন কোটি টাকায় টেন্ডার হয়েছে। টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে।”

গত ডিসেম্বরে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ত্যাগ করে বিজেপিতে (BJP) যোগদানের পরপরই বাঁকুড়ার বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ও একই পথে হাঁটেন। শুভেন্দুই তাঁর রাজনৈতিক পথপ্রদর্শক, একথা জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্পর্শ ত্যাগ করেছিলেন তিনি। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু একুশের ভোটে প্রার্থী হতে পারেননি। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, আগের দিন রাতে যিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তন্ময় ঘোষ নামে সেই ব্যক্তিকে বিষ্ণুপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে। তাতেই তিনি কোটি টাকায় টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলেছেন।

এখানেই শেষ নয়, যে শুভেন্দুর কথার প্রলোভনে তিনি দলত্যাগ করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁকেও একহাত নেন
শ্যামাপ্রসাদবাবু। শুভেন্দু সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ঘনিষ্ঠ মোহে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর উপর ভরসা করেই তিনি বিজেপিতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে শুভেন্দু লাভবান হলেও রাজনীতির বাণিজ্যে তিনি লোকসানের মুখই দেখলেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে গেরুয়ার প্রতি মোহভঙ্গ হলো
শ্যামাপ্রসাদবাবুর।

Advt

Previous articleবিজেপিতে টিকিট না পেয়ে ঘরে ফিরতে মরিয়া শ্যামাপ্রসাদ, পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল
Next articleবশীকরণ-নেশাহরণ থেকে অভিনয়ের সুযোগ, ভোট প্রচারে অভিনব বামেরা