Thursday, August 28, 2025

স্বাধীনতার ৭০ বছর পরেও সংরক্ষণ প্রয়োজন? প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত

Date:

স্বাধীনতার ৭০ বছর (70 years of independece) পরেও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা আছে কি? অনগ্রসররা কি এখনও অগ্রসর হয়নি? এই প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত (supreme court)। শীর্ষ আদালতে মহারাষ্ট্রের মারাঠা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বিল নিয়ে করা একটি মমালার শুনানি ছিল এদিন। সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ  এই প্রশ্ন তুলেছে। আদালতের প্রশ্ন, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।হয়েছে বিতর্কও । কিন্তু  এই সংরক্ষণ আর কত প্রজন্ম ধরে চলবে? চাকরি ও শিক্ষায় মারাঠাদের ১৬ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করে বিল পাশ করেছিল ঠাকরে সরকার। সেই বিল নিয়ে মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। তার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, যদি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ বা কোনও উর্ধ্বসীমা না থাকে তাহলে সকলের সমান অধিকার কীভাবে সুরক্ষিত হবে? ১৯৯৩ সালে ইন্দিরা সহায় মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, যেন কোনও সংরক্ষণই ৫০ শতাংশ না পেরিয়ে যায়। কিন্তু মারাঠাদের সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিল অনুযায়ী, ১৬ শতাংশ সংরক্ষণ হলে সেই অঙ্কটা ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে।

সুপ্রিম কোর্টের এই প্রশ্নের মুখে মহারাষ্ট্র সরকারের  আইনজীবী মুকুল রোহতগি বলেন, আদালত ১৯৯৩ সালের ওই  রায়ট দিয়েছিল ১৯৩১ সালের জনগণনার ভিত্তিতে। এখন জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিষয়টির পুনর্বিবেচনা উচিত। পাশাপাশি তিনি সংরক্ষণের বিষয়টি রাজ্য সরকারের হাতে ছাড়ার কথা জানান। সুপ্রিম কোর্টে রোহতগি জানান, কেন্দ্রের আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির ১০ শতাংশ সংরক্ষণও ৫০ শতাংশের সীমা পেরিয়ে যায়, তাই এই ক্ষেত্রে পরিবর্তন প্রয়োজন। সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি এস আবদুল নাজ়ির, বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি এল রবীন্দ্র ভট্ট প্রশ্ন করেন, যদি উর্ধ্বসীমা না থাকে তাহলে সাম্যের কী হবে? পাশাপাশি অনগ্রসরতা কাটিয়ে না উঠতে পারার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version