Thursday, November 13, 2025

“বিজেপি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক, সেই টাকা থেকে গুণ্ডা পোষে”, গেরুয়া শিবিরকে কড়া ভাষায় আক্রমণ মমতার

Date:

Share post:

• আমার অনেক মা বোনেরা পায়ে হেঁটে এই সভায় এসেছেন, মায়েদের সবাইকে প্রণাম জানাই। আপনারা ভাল থাকুন। আমাকে আগে কাঁথিতে মিটিং করতে দেওয়া হত না, এগরায় মিটিং করতে দেওয়া হত না। আগে ওগুলো একজনের জমিদারি ছিল। যাঁরা ওদের কথা শুনবে তাঁরাই থাকবে, যাঁরা শুনবে না, থাকবে না, এটাই ছিল নিয়ম।

• কাঁথিতে হাসপাতাল, বাস স্ট্যান্ড, রাস্তা, সব করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। দীঘা গেট তৈরি করলাম আমরা, আমার নাম মুছে দিয়ে ওরা নিজেদের নাম দিয়েছে। কাঁথিতে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল হয়েছে, আগামীদিনে ৫০০ হলে ওটাও মেডিক্যাল কলেজ হবে। মুম্বইয়ে মেরিন ড্রাইভের মতো সেতু তৈরি হচ্ছে দীঘাতেও। কাঁথি থেকে দীঘা সেতু তৈরি হলে নতুন করে সেজে উঠবে। দীঘাতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার আমরা তৈরি করেছি। দীঘা, কাঁথির উন্নয়ন আমরা করেছি। দীঘা তমলুক রেল আমি করেছি।

• আগে মৎসজীবীদের কোনও পরিচয়পত্র ছিল না, আমরা তৈরি করে দিয়েছি। সহজে উদ্ধার কাজ করা যাচ্ছে। তাজপুর বন্দর হচ্ছে। সেখানে ২৫ হাজার লোকের চাকরি হবে, সেই চাকরি কাঁথির ছেলে মেয়েরাও পাবে। ছোট শিল্পে আমরা আরও পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করছি। মেদিনীপুরের মানুষেরা অনেক কাজ করে। পালিয়ে গিয়েছে যাঁরা গদ্দারি করে, তারা কত নিয়েছে জিজ্ঞাসা করুন। নরেন্দ্র মোদি, আপনার গদ্দাররা চোরের সর্দার। ওরা গেল না এল, তাতে কিছু এসে যায় না। আমি নিজে ছবি একে দিয়ে এসেছিলাম। ওই মির্জাফরের দল হাত ধরে বিজেপি-কে নিয়ে এসেছে। এদের থেকে বড় গদ্দার আর কেউ হতে পারে না। এদের হাত থেকে মেদিনীপুরকে মুক্ত করতে হবে।

• আমাদের সরকার জিতলে আপনার দরজায় দরজায় রেশন পৌঁছে দিয়ে আসবে। আমাদের সরকার জিতলে কৃষক, ক্ষেতমজুরদের টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে। বছরে চার বার দুয়ারে সরকার হবে। মহিলারা ঘরে কাজ করেন, অনেকসময় তাঁদের হাতে টাকা থাকে না, তাঁদের নিজে পায়ে দাঁড়াতে হাত খরচ ৫০০ টাকা করে, তফশিলি জাতি ও উপজাতিরা ১০০০ টাকা পাবেন। পড়াশোনার জন্য পড়ুয়াদের ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড করা হবে।

• ১০০ দিনের কাজে আমরা প্রথম। আপনারা আপনাদের ভাইবোনেদের ফিরে আসতে বলুন। এখানে বসেই সবাই কাজ করবে, মুম্বই যেতে হবে না। ভোটের দিন সবাইকে ডেকে আনবেন, যাতে ভোট দেয়। না হলে বিজেপি আবার বের করে দেবো। বহিরাগত গুণ্ডারা এসে পানবাহার চিবোচ্ছে, আর টিকা লাগিয়ে নিয়ে বলছে, ‘‘হাম যা বোলেগা, ওহি চলেগা।’’ উত্তরপ্রদেশে মেয়েরা দুপুরেও বেরোতে পারে না।

• ভোট দিন গদ্দারদের বিরুদ্ধে, মির্জাফরদের বিরুদ্ধে। বিজেপি একটা ডাকাত পার্টি, সিপিএমের হার্মাদ আর আমাদের কিছু গদ্দাররা জুটেছে। বহিরাগত গুণ্ডাদের ঢুকতে দেবেন না। ভোটের মেশিন খারাপ হলে ধৈর্য্য ধরে বসে থাকবেন। নিজের ভোট দেবেন। ভোট হয়ে যাওয়ার পর পাহারা দিতে হবে সহকর্মীদের। ২০-৩০ জন করে ছেলে মেয়ে নিয়মিত পাহারা দেবে। যাতে কোনওভাবে ভোট মেশিন দখল করতে না পারে।

• সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, জগাই, মাধাই গদাই। তিনটেকেই বিদায় দিন। জিজ্ঞাসা করুন, কেন গ্যাসের দাম বাড়ছে। কেন পেট্রোলের দাম বাড়ছে। কয়েকটি কোটিপতি আপনাদের সব লুটে নিয়ে চলে যাবে। বিজেপি ভোট চাইলে জিজ্ঞাসা করুন, রেল, কোল, এয়ার ইন্ডিয়া, কেন বিক্রি হচ্ছে? পিএম কেয়ার্স, নোট বন্দির টাকা কোথায় গেল? জবাব দিতে বলুন। নির্বাচনের সময় লোককে ৫০০-১০০০ টাকা করে দিচ্ছে।

• বিজেপি এখন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। সেই টাকা থেকে গুণ্ডা পোষে। টাকা দিয়ে ভোট দেবেন না। মেয়েদের উপ গুরুত্ব দিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। এক পা দিয়ে বল মারলে সবাইকে বোল্ড আউট করে বের করে দেবে। আমার দুটো করে পা মা বোনেদের আছে, তাঁদের পা চলছে আমার সঙ্গে। মা বোনেদের পায়ের উপর ভর করেই আমি চলব।

আরও পড়ুন:‘ডবল ইঞ্জিন সরকারে পাঁচ বছরে গড়ে তুলব সোনার বাংলা’, এগরার সভায় প্রতিশ্রুতি শাহর

Advt

spot_img

Related articles

“রিচার নামে স্টেডিয়াম ইতিহাস হয়ে থাকবে”, উচ্ছ্বসিত ঝুলন

শিলিগুড়িতে রিচা ঘোষের(Richa Ghosh)  নামে স্টেডিয়াম হচ্ছে শিলিগুড়িতে। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেছেন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারের নামে...

‘হাঁটি হাঁটি পা পা’-র ট্রেলার-পোস্টার লঞ্চে ‘বাবা-মেয়ে’র রসায়নে চিরঞ্জিৎ-রুক্মিণী

অর্ণব মিদ্যার ছবি 'হাঁটি হাঁটি পা পা'-র ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চের জমজমাট অনুষ্ঠান হল ফ্লোটেলে। বৃদ্ধ বাবা ও...

লক্ষ্য ২০২৭! ২৫ নভেম্বর শুরু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ

ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে। রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী মানস...

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...