লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কয়লার টাকা কি জঙ্গিদের হাতে যেত? এমনই খবরের ইঙ্গিত পেলেন তদন্তকারী অফিসাররা। অভিযুক্তদের জেরায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে এবার এই সন্দেহ আরো জোরালো হচ্ছে তদন্তকারী আধিকারিকদের। কয়লা-কাণ্ডে (Coal Scam) এবার জঙ্গি যোগের তত্ত্ব সামনে আনছে সিবিআই (CBI)।

লালার কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা কিনতেন তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়াল। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে এনআইএ-র সন্দেহের তালিকায় ছিলেন অমিত আগরওয়াল। অভিযোগ ছিল, ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী তহবিলে নিয়মিত টাকা দেয় অমিত। সেই সূত্রে ওই সময় তাঁর বাড়িতে ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। এবার কয়লা কাণ্ডে অমিতকে গ্রেফতারের পর ফের জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা মাথাচাড়া দিয়েছে। তাই কয়লার টাকা জঙ্গি সংগঠনের হাতে যেত, এমন দাবি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও কোন মাওবাদী সংগঠন বা জঙ্গি সংগনের কাছে এই টাকা যেত তা এখনও জানা যায়নি। অমিতকে টানা জেরা করে সেই তথ্যই জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে।সোমবারই এই অবৈধ কয়লা পাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে নামে লালা ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীকে তলব করেছে সিবিআই। তিনি তবে তাঁর টাকা মাওবাদী বা জঙ্গি তহবিলে যেত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ২০১৮ সালেই এই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ।

লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী তথা স্টিল প্লান্টের মালিক অমিত আগরওয়াল অবৈধ কয়লার বেশিরভাগই এই ব্যবসায়ী কিনে তাঁর স্টিল প্লান্টে ব্যবহার করতেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি লালার কয়লার অবৈধ কাজকর্ম চালানোর জন্য সমাজবিরোধীদের আশ্রয়ও দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। গত সপ্তাহে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। সেখান থেকে পাঁচটি কম্পিউটার, হার্ড ডিস্ক ও ল্যাপটপ উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এগুলিতেই কয়লার যাবতীয় হিসেব লুকিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
