বাংলার ‘জল ধরো জল ভরো’ ধাঁচে এবার কেন্দ্রে ‘বৃষ্টি ধরো’ পরিকল্পনা মোদির

পশ্চিমবঙ্গের ‘স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প(Swasthya Sathi)’ চালু হওয়ার পর কেন্দ্রে ‘আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প(Ayushman Bharat)’ চালু করেছে মোদি সরকার(Modi government)। বিগত এক দশক ধরে বাংলায় চলতে থাকা আরও একটি প্রকল্প এবার জাতীয় স্তরে শুরু করার পরিকল্পনা করল কেন্দ্র। ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস(World water day)। এমন একটি দিনেই বাংলার মডেল প্রকল্প ‘জল ধরো জল ভরো’র ধাঁচে জাতীয় স্তরে ‘জল শক্তি অভিযান: বৃষ্টি ধরো’ প্রকল্পের সূচনা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi)।

প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে জানা গিয়েছে, বৃষ্টির জল ধরার অভিযানটিকে জনআন্দোলনে পরিণত করতে চায় সরকার। এর স্লোগান হবে, ‘যেখানে যখন ঝরুক, বৃষ্টি ধরো’। ২২ মার্চ থেকে ৩০ নভেম্বর, অর্থাত্‍ প্রাক-বর্ষা পর্ব ও গোটা বর্ষাকাল জুড়ে সারা দেশে গ্রাম-শহরে চলবে এই অভিযান। এর পাশাপাশি বুন্দেলখন্ড বিশাল এলাকায় সেচ ও পানি ও জলের সুবিধা পৌঁছে দিতে উত্তরপ্রদেশের কেন নদীর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের বেতওয়া নদীর মধ্যে সংযোগ ঘটানোর লক্ষ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হতে চলেছে এদিন। আর এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ভারতের মাটিতে এই প্রথম কোনো আন্তঃরাজ্য নদী সংযোগ ঘটতে চলেছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বছরে ১০.৬২ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচের জল পৌঁছবে। প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষ পাবেন পানীয় জল। মিলবে ১০৩ মেগাওয়াট জলবিদ্যুত্‍ও।

আরও পড়ুন:সারাদিনে ৯ কর্মসূচি শুভেন্দুর, নন্দীগ্রামের ভোটার হিসাবে ফের দাবি

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গে ২০১১ সাল থেকেই চালু রয়েছে ‘জল ধরো জয় ভরো’ প্রকল্প। বৃষ্টির জল ধরে ও জলের উত্‍সগুলি সংরক্ষণের মাধ্যমে কৃষি ও পশুপালনে তা ব্যবহার করা ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার লক্ষে এক দশকে প্রায় তিন লক্ষ জলাশয় খনন করা হয়েছে রাজ্যে। এটিকে মডেল প্রকল্প হিসেবে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিন্ন নাম ও আঙ্গিকে গোটা দেশের জন্য বৃষ্টি ধরার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন ২২ মার্চ। তার পরে এ দিনই দেশের সব গ্রাম পঞ্চায়েতে বসবে গ্রামসভা (ভোট হচ্ছে যে সব রাজ্যে, সেগুলি বাদে)। হবে জল সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা। নেওয়া হবে ‘জল শপথ’।

Advt