কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদ ও রাজ্যের স্বৈরাচার দুই বিপদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে একমাত্র বিকল্প বামেরাই। বামেরাই রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে পারে সুস্থ-সামাজিক পরিবেশ। এমনটাই বললেন বুদ্ধিজীবীরা। সংযুক্ত মোর্চা প্রার্থীদের পক্ষে সোমবার দুপুরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল প্রেস ক্লাবে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বাংলা সিনেমা ও নাট্যজগতের একঝাঁক মানুষ, যাঁদের বহু সময়েই দেখা যায় সাংস্কৃতিক ক্রিয়াকর্ম ও বিভিন্ন আন্দোলনের মঞ্চে।

উপস্থিত ছিলেন সিনেমা ও নাট্যজগতের বিমল চক্রবর্তী, সীমা মুখোপাধ্যায়, দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত, সব্যসাচী চক্রবর্তী, সুপ্রিয় দত্ত, মানসী সিংহ, চন্দন সেন, দেবজ্যোতি মিশ্র, বাদশা মৈত্র।

নাট্যকার চন্দন সেন বলেন, “সংস্কৃতি জগতের মানুষদের রাজনীতিতে আসার বিরোধী আমরা নই। একটা সময়ে অনিল চট্টোপাধ্যায়, অনুপ কুমার, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়রা নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এখন বিস্ময়ের সঙ্গে দেখছি এমন সব সেলিব্রিটিরা নির্বাচনের অজুহাতে ভোটে দাঁড়াতে অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যাঁদের কোনও রাজনৈতিক বা সমাজ সচেতনতার পরিচয় কয়েক মাস আগে পর্যন্ত অজানা ছিল। এটাই বিপজ্জনক।”

পরিচালক অনীক দত্ত ও কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় জানান, “আর ক’দিন বাদেই নির্বাচন। কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদ, রাজ্যের স্বৈরাচার দুই বিপদের মাঝে এখন বাংলা। অবিলম্বে এমন একটি সরকার চাই, যে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে কাজ করবে, ফিরিয়ে আনবে রাজ্যে সুস্থ, সামাজিক পরিবেশ। সেই কাজটি করার জন্য আমাদের মনে হয়েছে একমাত্র বিকল্প বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি।”

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বলেন, “এখন দেখছি আর শুনছি সব সেলিব্রিটিরা নাকি মানুষের সেবা করতে জান কবুল করতে চাইছেন। কিন্তু তাঁরা বোধহয় জানেন না, মানুষের এখন শুধু সেবা নয়, পরিষেবার বেশি দরকার। দরকার চাকরির, সরকারি দল নয়। এই রাজ্যের শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, কিচ্ছু করার নেই বলে!” টালিগঞ্জ এলাকার প্রার্থী দেবদূত ঘোষ বললেন, “দুয়ারে দুয়ারে নয়, আমরা ঘরে ঘরে যাচ্ছি, এবং ভালোই সাড়া পাচ্ছি।”

আরও পড়ুন- শেখ হাসিনাকে খুনের ষড়যন্ত্রের চেষ্টায় ১৪ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ