এক ‘ঐতিহাসিক’ ঘটনা জীবনে প্রথমবার প্রকাশ্যে এনেও স্বস্তি পেলেন না তিনি৷

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে না’কি অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। শুধু অংশগ্রহণই নয়, তিনি না’কি কারাবরণও করেছিলেন৷ শুক্রবার বাংলাদেশের ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে এমনই দাবি করেছেন মোদি। শুধু এটুকু বলার অপেক্ষা, সঙ্গে সঙ্গে মোদির ‘অশ্রুতপূর্ব’ দাবি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মিম’-এর সুনামি৷

আর তার মাঝেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মোদির অংশ নেওয়া এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য মোদির জেলযাত্রার প্রমাণ চেয়ে তথ্য জানার অধিকার আইনে RTI হল। আবেদন করেছেন করেছেন প্রণোজিৎ দে নামে এক ব্যক্তি৷ তিনি আইনি পথে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কাছে মোদির কারাবরণ সংক্রান্ত তথ্য-প্রমাণ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন৷

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্ম শতবর্ষ উদযাপনে অংশ নিতে শুক্রবার দু’দিনের সফরে বাংলাদেশ গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন তাঁর নানা কর্মসূচির মধ্যে ছিলো দুপুরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহিদদের স্মৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা৷ সেখান থেকে যান বাংলাদেশের প্যারেড গ্রাউন্ডে, ‘মুজিব চিরন্তন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে৷ ওখানেই বক্তব্য পেশ করার সময় মোদি জানান, তাঁর জীবনে প্রথম আন্দোলনগুলির অন্যতম আন্দোলন হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ।

ওখানেই আবেগতাড়িত গলায় মোদি বলেন, “তখন আমার বয়স ২০-২২। আমি ও আমার বন্ধুরা ভারতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সত্যাগ্রহে সামিল হয়েছিলাম। তার জন্য আমার জেলে যাওয়ারও সৌভাগ্য হয়েছিল।’
আর এই বক্তব্যের পরই শুরু হয় বিতর্ক, যা আপাতত শেষ হয়েছে RTI-এ৷
