নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান করে দিয়েছি, তিন হাজার মানুষের চাকরি হবে : মমতা

কোচবিহার থেকে আগে যে জিতে ছিল সে কোনো কাজ করেনি। তাই বিনয় কৃষ্ণ বর্মনকে এখানে নিয়ে এসেছি। পাশেই নাটাবাড়ি প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কোচবিহারের জন্য লড়াই করে।

কোচবিহারে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। বানেশ্বর থেকে মদনমোহন মন্দির, শিব চন্ডি মন্দির- সকল দেবতাকে প্রণাম জানাই।

এখানে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় এর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস তৈরি হচ্ছে। রাজবংশী ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি। রাজবংশী, কামতাপুরি একাডেমি তৈরি করেছি। রাজবংশী স্কুলগুলোকে স্বীকৃতি দেবে সরকার

ভবানী ও সেতু, মৃদঙ্গ সেতু, জয়ী সেতু, অনেক রাস্তাঘাট করে দেওয়া হয়েছে। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি অনেক তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়া যায়। মেচেদা থেকে কামারপুকুর, বীরভূম হয়ে উত্তরবঙ্গ আশার নতুন রাস্তা হচ্ছে। ভুটান, বাংলাদেশ, নেপালের সাথে জুড়ে যাবে এই রাস্তা গুলো। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে।

আসামে ১৪ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়ে ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দিয়েছে। বলেছিল CAA করবে। কোথায় CAA? নির্বাচনের আগে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়। কোন‌ও কাজ করে না বিজেপি

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান করে দেবে। আগেও বলেছিল। কালকেও এক কথা বলেছে। RTI করে কেন্দ্র কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, এইরকম কোন প্রস্তাব কেন্দ্রের কাছে আছে? কেন্দ্র বলেছে না, কোন‌ও প্রস্তাব নেই। রাজবংশী মানুষকে ধোঁকা দিয়েছে

আমি কিন্তু নারায়ণী ব্যাটেলিয়ান করে দিয়েছি। তিন হাজার মানুষের চাকরি হবে

ছিটমহল সমস্যাও আমি সমাধান করে দিয়েছি। ৬০ বছর ধরে মানুষগুলো সমস্যায় ছিল। রেলমন্ত্রী হিসেবে উত্তরবঙ্গকে কত ট্রেন দিয়েছি। এরা একটাও কাজ করেনি। আজকে ভোট চাইতে এসেছে

যে লোকসভা ভোটে জিতলো সে এখন এম‌এল‌এ নির্বাচন লড়ছে। এরপর কাউন্সিলর নির্বাচনে লড়বেন? আর যিনি এখানে দাঁড়িয়েছেন তিনি মার্ডার কেসে জেলে ছিলেন ২০১৬ তে

৩ দফায় ৯০ র বেশি আসনে ভোট হয়ে গেছে। বিজেপি আমাদের ধারে কাছেও আসতে পারেনি

কাল আরামবাগে আমাদের প্রার্থী কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীকেও মেরেছে। খানাকুলের প্রার্থীকে পিটিয়েছে। মেয়েরা যাতে ভোট দিতে না পারে গ্রামে গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভয় দেখিয়েছে

একটা ভোটের দাম একটা বন্দুকের চেয়ে অনেক বেশি। ওরা মা-বোনেদের ভোটটাকে ভয় পাচ্ছে। মেশিন খারাপ করে দিয়েছে, যাতে মানুষ ভোট না দিয়ে চলে যায়। ভোট না দিলে নাম বাদ দিয়ে দেবে। বলবে তুমি বাদ, ডিটেনশন ক্যাম্প চলে যাও

আমি NRC-NPR করতে দেব না। বাংলার সব মানুষ ভারতের নাগরিক। কেউ বাদ যাবে না

বছরে এখন থেকে চার মাস দুয়ারে সরকার হবে। কোন পরিষেবা চাইলে ক্যাম্পে গিয়ে নাম লেখান, পেয়ে যাবেন। বিনা পয়সায় খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা পাবেন। ১০০ দিনের কাজ ২০০ দিন করা হবে

বাংলায় এত সামাজিক সুরক্ষা, সারা ভারতবর্ষে কোথাও নেই। সব প্রকল্প চালু থাকবে। আগামী দিনে আরো করব

রেশন বিনা পয়সায় দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়া হবে

বাড়ির মেয়েরা মাসে মাসে হাত খরচা জন্য ৫০০ থেকে হাজার টাকা পাবে। ওরা সবটাই সংসারের জন্য করে, নিজেদের জন্য কিছুই রাখে না। ওদের ছাড়া দুনিয়া অচল। মা-বোনেদের দুই পায়ের ভরসাতেই আমি এক পা নিয়ে প্রচারে এসেছি। এটা লক্ষ্মীর ভান্ডার

কৃষক বন্ধুরা বিনা পয়সায় শস্যবীমা পান। কৃষি জমির খাজনা নেওয়া হয় না। আগামী দিনে কৃষক বন্ধুর টাকা একরপ্রতি ছয় হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকা দেয়া হবে

স্বাস্থ্য সাথীর ৫ লক্ষ টাকার কার্ড বিনা পয়সায় পাবেন

ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য চিন্তা করতে হবে না। ওদের ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে। যাতে ওরা ভালো করে পড়াশোনা করতে পারে। মা-বাবাকে চিন্তা করতে হবে না

দেশে যখন বেকারত্ব বেড়েছে, বাংলায় ৪০% বেকারত্ব কমেছে। দারিদ্র্য কমেছে

আমরা রাজ্যের সব তীর্থস্থান গুলো সংস্কার করে দিচ্ছি। আমরা চাইনা ধর্ম নিয়ে ভাগাভাগি হোক। বাঙালি-রাজবংশী দের মধ্যে ভাগাভাগি করে, হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে ভাগাভাগি করে। বিপদ এলে এক হয় সেটার সম্মুখীন হতে হবে না? সেই জন্য কোন‌ও ভাগাভাগি করবেন না। আমি সবার ধর্ম সম্মান করি

হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে তপশিলি বাড়িতে বসে লোকদেখানো খাবার খাই না। আমরা এইসব বিশ্বাস করিনা। বিজেপি হল ছদ্মবেশী শয়তান। বোম মারে, গুলি চালায়। গেরুয়া পরলেই কি ভালো হওয়া যায়?

কালকে ওরা রায়দিঘীতে হাজার টাকা করে কুপন বিলি করেছে বিজেপিকে ভোট দে‌ওয়ার জন্য। ওই টাকা নিলে পাপ হবে। ওদের বলুন, ১৫ লক্ষ টাকা কোথায় গেল? টাকা নিয়ে ভোট দেবেন না

আমি বিনা পয়সায় চাল দিচ্ছি। সেটা ফোটাতে ৯৫০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনতে হচ্ছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। ব্যাংক বিক্রি করে দিচ্ছে। বীমা, রেল, SAIL, BHEL, BSNL, MTNL, IPCL, AIR INDIA সব বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছিল, আমরা করতে দিইনি। কোনদিন সেনাবাহিনীও বেসরকারি করে দেবে। মোদি দেশটাকে‌ও বিক্রি করে দেবে

বিজেপি বাংলা‌ও বলতে জানেনা। কোচবিহারের ইতিহাস জানে না। এটা একটা প্রসিদ্ধ জায়গা। আমরা এই শহরকে হেরিটেজ শহর বানাচ্ছি

তাইতো বলি, খেলা হবে। অসম থেকে গুন্ডা পাঠিয়ে যদি ভোট লুঠ করতে চায়, আপনি মেনে নেবেন? যদি বন্ধুক, গুলি দিয়ে ভয় দেখায়, পাবেন? অসহায়ের মতো ডিটেনশন ক্যাম্প এখানে চলবে না। তৃণমূল একমাত্র রক্ষাকবচ। আপনারা সবাই নাগরিক। চিন্তার কারন নেই। আপনাদের সবার পাহারাদার আমি

মমতাকে হারাতে দিল্লি থেকে একগুচ্ছ নেতা নিয়ে এসেছে। অত সহজ না। আগের দিল্লি সামলা, তারপর ভাবিস বাংলা

কেউ যদি এজেন্ট হতে ভয় পায়, টাকা নিয়ে পালায়, তাদের এজেন্ট করবেন না। বঙ্গ জননী, কন্যাশ্রী মেয়েদের এজেন্ট করুন

আমি নির্বাচন কমিশনকে বলবো অসমের বর্ডার সিল করতে। বাইরে থেকে যেন কেউ গুন্ডামি করতে না পারে। সিআরপিএফ কোন বদমাইশি করলে একদল ঘেরাও করবেন, একদল ভোট দিতে যাবেন। ভোট নষ্ট করবেন না

EVM মেশিন ভালো করে পরীক্ষা করে নিতে হবে। বিজেপি অনেক কারচুপি করতে পারে, সাবধান হতে হবে। মেশিন খারাপ হলে চলে যাবেন না। নতুন মেশিন চালু হলে ভোট দিয়ে তারপর যাবেন। যতক্ষণ মেশিন সিল না হচ্ছে, কোন এজেন্ট বাড়ি যাবে না। মেশিন পাহারা দেওয়ার জন্য একটা দল বানাবেন। ছেলে মেয়েরা বসে পাহারা দেবেন। বাইরের খাবার খাবেন না। পুলিশকে বিশ্বাস করবেন না। অনেকেই বিজেপির সাথে সমঝোতা করে বসে থাকে। আমরা লক্ষ্য রাখবো কে কি করছে না করছে

আর একটা কথা বলি, সারা রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় না, শুধু ভোট কেন্দ্র থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকে, ওরা মিথ্যে বলছে যাতে মানুষ ভোট দিতে না যায়

আমরা চাই শান্তিপূর্ন, সুস্থ অবাধ নির্বাচন। মানুষ যেন নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন। সিআরপিএফ যারা প্রকৃত জ‌ওয়ান তাদের আমি সম্মান করি। কিন্তু যারা বিজেপির হয়ে অসভ্যতা করে মহিলাদের অসম্মান করে, তাদের আমি সম্মান করিনা। পুলওয়ামা, শুকমায় এতগুলো জ‌ওয়ান মারা গেল, কি করেছে বিজেপি? পুলিশকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। অনেক জনের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এসেছে

অমিত শাহের নির্দেশে পুলিশ যা করে বেড়াচ্ছে। শুধু বাংলা দখল করতে হবে

বিজেপি একটা জঘন্য দল। কুশাসনের দল, কুত্তার দল, চোরেদের দল, গুন্ডাদের দল। সারা দেশ ওদের ছি ছি করছেI

Advt

Previous articleউয়েফা চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্বে জয় রিয়ালের
Next articleমাস্টারমশাইয়ের সমর্থনে সিঙ্গুরে রোড শো সারলেন অমিত শাহ