করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ৭ সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু করোনার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার চলছে প্রচার, কুম্ভ মেলা, চড়ক মেলা, বাজার হাট। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতেই সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডহ্যানোম গ্যাব্রিয়েসাস বলেন, ”এখনও ভাইরাস যেতে ঢের দেরি। তবে এরই মধ্যে আমরা বহু আশার কারণ খুঁজে পাচ্ছি। বছরের শুরুর দিকে মৃত্যুর গ্রাফ কমার উদাহরণ দেখিয়ে দিয়েছিল, এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। করোনার টিকাকরণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই করোনাকে হারানো কয়েক মাসের বিষয়।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এর ডিরেক্টর জেনারেল আরও বলেন, ” জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে টানা ৬ সপ্তাহ করোনার গ্রাফ কমতে দেখা গিয়েছে। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, টানা সাত সপ্তাহ ধরে বিশ্বে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা পরিস্থিতি। টানা চার সপ্তাহ বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। গত সপ্তাহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সবথেকে বেশি। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে বিশ্বে ভাইরাস নির্মূল হতে এখনও সময় লাগবে’।
গতবছর মার্চ মাসের পর থেকে করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত থাকলেও নির্দিষ্ট সুরক্ষাবলয় মেনে চলায় করোনা ভাইরাসের রাশ টানা গিয়েছিল। কিন্তু রাশ আলগা করতেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমনকি সুস্থতার হারও অনেকটাই কমেছে। হু-এর ডিরেকটর জানান, সাম্প্রতিককালে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বিশ্বে ৭৮ কোটি মানুষের কাছে করোনার টিকা পৌঁছোনোর পরও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।যা খুবই চিন্তার কারণ।

এদিন তিনি , শুধুমাত্র টিকার ওপর ভরসা না করার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ”করোনার টিকা একটা অত্যন্ত শক্তিশালী হাতিয়ার। তবে এটা করোনা রুখতে একটি মাত্র হাতিয়ার নয়। আপনারা এই ভুলটা করবেন না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনা পরীক্ষা ছাড়াও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নজরে রাখুন। এইসব বিষয়গুলোই করোনা প্রতিরোধ করতে কাজে লাগে। কিন্তু বিভ্রান্তি, জটিলতা ও অনবরত জনস্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটছে।”
