শুরুটা হয়েছিল বারাসতে (Barasat) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সভা (Rally) দিয়ে। সেই একই চিত্র ফুটে উঠলো দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) থেকে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) রাজনাথ সিংদের (Rajnath Singh) মতো বিজেপির স্টার
ক্যাম্পেনদের জনসভা ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে। আশানুরূপ ভিড় না হওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। বারাসতের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন সভায় হ্যাঙ্গার ভরল না,তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে কম জলঘোলা হয়নি। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সভায় ভিড়ের বহর বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কঙ্কালসার ছবি আরও স্পষ্ট করে দিল।

অন্যদিকে, দলবদলু বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভাস্থলের ছবি আরও করুণ। কার্যত ফাঁকা মাঠে সভা করে ফিরতে হলো হতাশ0 শুভেন্দুকে। হাবড়ায় বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার সমর্থনে কাশীপুর স্কুল মাঠের সভায় মূল বক্তা ছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু মাঠ ভরলো না। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে প্ৰশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং মধ্যমগ্রামের সভামঞ্চে ওঠার পরও সামনের সিংহভাগ চেয়ার ফাঁকা পড়ে ছিল। কার্যত ফাঁকা মাঠে তাঁকে বক্তব্য রাখতে হয়। এই ছবি দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সাংগঠনিক দুর্বলতার পাশাপাশি শীতলকুচি কাণ্ডের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বিজেপির সভাগুলিতে। যা আগামী দফার নির্বাচনগুলোতে আরও প্রকট হবে।
