অসুস্থতা বা বয়স কোনও ফ্যাক্টরই নয়৷

কমিশনের পোস্টাল ব্যালটের প্রস্তাব উড়িয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আর পাঁচজনের মতোই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ চান এখনও অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য (Buddhadeb Bhattacharya) এবং ৮২ বছরের বিমান বসু (Biman Basu)। গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনে দুই প্রবীণ যেভাবে নিজেরাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, তাতে বাড়তি অক্সিজেন পেতে চলেছে বাম-ব্রিগেড৷

বুদ্ধবাবুর শরীর এখন কিছুটা সুস্থ। সে কারনেই পোস্টাল ব্যালটে নয়, তিনি ভোটকেন্দ্রে গিয়েই ভোট দিতে তিনি৷ একই সিদ্ধান্ত বিরাশি বছরের বিমান বসুরও। তিনিও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনকে।

প্রবল শ্বাসকষ্টের কারনে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধবাবু৷ দু’বার হাসপাতাল যেতে হয় তাঁকে৷ অসুস্থতার কারণে লোকসভা নির্বাচনে ভোটও দিতে পারেননি বুদ্ধবাবু। অংশ নিতে পারেননি ব্রিগেডের সমাবেশে। তবে এখন অনেকটা ভালো থাকায় নিজে বুথে গিয়েই ভোট দেবেন বুদ্ধবাবু।
করোনা সংক্রমণের কারনে এ বারের ভোটে গুরুতর অসুস্থ বা ৮০ পার হওয়া ভোটারদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে কমিশন। এই সুযোগ পেতে হলে ১২ডি ফর্ম পূরণ করে আবেদন করতে হয়৷ নির্দিষ্ট কেন্দ্রের ভোটের কয়েকদিন আগেই কমিশনের কর্মীরা হাজির হয়ে ব্যালট সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। বুদ্ধবাবু এখনও ১২ডি ফর্ম জমা করেননি৷ আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, পার্টির তরফে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলা হয়। তখনই বুদ্ধবাবু পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আপত্তির কথা জানান৷

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর বয়স এখন ৮২৷ নির্বাচন কমিশন তাঁর সঙ্গেও যোগাযোগ করে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য৷ কমিশন কর্মীদের বিমানবাবু সাফ জানিয়ে দেন, “এখনও প্রতিদিন নিয়ম করে ভোটের প্রচারে থাকি। আজও শরীরে কোনও রোগ নেই৷ তাহলে খামোকা কেন পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে যাবো ? প্রশ্নই ওঠে না।আমি বুথে গিয়েই ভোট দেবো৷”
