করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। রোজই আক্রান্তের সংখ্যা ছাপিয়ে যাচ্ছে আগের দিনকে। কিন্তু এর মধ্যেও বাদ নেই নির্বাচনী প্রচার। বামেরা (Left) আগেই প্রচারে রাশ টেনেছে। তৃণমূল (Tmc) নেত্রীও একটার বেশি সভা করবেন না কলকাতায় (Kolkata)। বাইরের সভাতেও সময় কমিয়ে দিয়েছেন। সভা বাতিল করেছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)। কিন্তু দিল্লি (Delhi) থেকে বিজেপির (Bjp) কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাংলায় ‘ডেইলি প্যাসেঞ্জারি’ বন্ধ হচ্ছে না। এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে (Twitter Handle) পোস্ট করেছেন সিপিআইএম (Cpim) নেতা তথা যাদবপুরের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তিনি লিখছেন,

“দেখে শুনে মনে হচ্ছে,
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝি,
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী!!
করোনা সহ নানান সংকটে
মানুষ যতই জর্জরিত হোক,
ওরা দিল্লি-কলকাতা
ডেইলি প্যাসেঞ্জারিতেই মশগুল।।
শুধুই দাপট, ক্ষমতা
আর মিথ্যাচারের প্রদর্শন।
মানুষের প্রতি দায়হীন সরকার।।”
দেখে শুনে মনে হচ্ছে,
প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা বুঝি,
এ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী!!করোনা সহ নানান সংকটে
মানুষ যতই জর্জরিত হোক,
ওরা দিল্লি – কলকাতা
ডেইলি প্যাসেঞ্জারিতেই মশগুল।।শুধুই দাপট, ক্ষমতা
আর মিথ্যাচারের প্রদর্শন।
মানুষের প্রতি দায়হীন সরকার।। pic.twitter.com/E9IazqxPge— Dr.Sujan Chakraborty (@Sujan_Speak) April 19, 2021
এর সঙ্গে সিপিআইএমের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechuri) একটি পোস্ট নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন সুজন চক্রবর্তী। সেখানেও ইয়েচুরি দেশে ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারকে ‘অপদার্থ’ বলে কটাক্ষ মমতার

সোমবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রচারে আসতে পারেন। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যে সংখ্যায় লোক রাজ্যে আসছেন তাতে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজের সফর সূচি বাতিল করেননি। চারদিনের বদলে একদিনে সভা করবেন ঠিকই, তবে সভা করবেন চারটে। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নাকি জনসভা হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব তা বলা হয়নি।

এর আগে কোনও নির্বাচনে এভাবে প্রতিদিন বাংলায় প্রচারে আসেননি কোনও প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশে যখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, দৈনিক সংক্রমণ এবং মৃত্যুতে রোজই হচ্ছে নয়া রেকর্ড, তখন প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা করার বিষয়টিকে একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না কোনও মহল।
