কোভিড বিধি মেনে নির্বিঘ্নে চলছে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ

আজ সোমবার রাজ্যে সপ্তম দফার ভোটগ্রহণ চলছে ৷ পাঁচ জেলায় মোট ৩৪ টি আসনে ২৬৮ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে ৷ ৩৬ টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ৷ সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৬ মে ৷ সপ্তম দফার নির্বাচনে মূলত নজরে রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর গড় ভবানীপুর ৷ সেইসঙ্গে রাসবিহারী ও কলকাতা বন্দর ৷ অন্যদিকে, মালদা-মুর্শিদাবাদে অধীরের গড়ে নির্বাচন রয়েছে ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর ও পশ্চিম বর্ধমানও নজরে থাকছে ৷
রাজ্যে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী ৷ এই পরিস্থিতিতে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে করোনা সুরক্ষাবিধির উপর ৷ বুথে বুথে মাস্ক, স্যানিটাইজার, থার্মাল গানের ব্যবস্থা থাকছে ৷ সামাজিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে ৷
সপ্তম দফার নির্বাচন শুরুর আগেই টুইট করে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেইসঙ্গে প্রত্যেককে করোনা সম্পর্কিত সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনে চলার আর্জি জানিয়েছেন ৷

সকালেই ভোট দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ ভবানীপুরের মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভোট দেন তিনি ৷ ভোট দিয়ে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসবেন ৷

মালতিপুর বিধানসভা এলাকার 270 নম্বর বুথে করোনা বিধি না মেনে চলছে ভোটগ্রহণ ৷ ভোটারদের কারও মুখে মাস্ক নেই এমনই অভিযোগ শাসকদলের ।
সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১৮ শতাংশ ।
ভোট দিয়েছেন ভবানীপুরের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ৷ সকালে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডে কাছারিপাড়া গোলাম মোহিনী হাইস্কুলে ভোট দেন তিনি ।
রাসবিহারীর তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিষ কুমারকে বুথে ঢুকতে বাধা দেয় সিআরপিএফ। তিনি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানান।

মুর্শিদাবাদের সুতির ১৩৪ নম্বর বুথে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ৷ দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভার ২১৫ নম্বর মলানদিঘিতে ইভিএম দেখিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে ৷ যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ৷
মুর্শিদাবাদ জেলার নবগ্রাম বিধানসভার ২৩১ ও ২৩২ নম্বর বুথে সকাল থেকেই লম্বা লাইন । কোভিড বিধি মেনেই ভোটগ্রহণ চলছে ৷

 

Advt

Previous articleমালদহ সফরের শুরুতে ওষুধ-অক্সিজেনের অভাব নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ মানস-কুণালের
Next articleআইপিএল থেকে সরে দাঁড়ালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কিন্তু কেন?