Tuesday, December 16, 2025

#ResignModi-তে আপত্তি, মোদির পদত্যাগের দাবি জানানো সমস্ত পোস্ট মুছল ফেসবুক!

Date:

দেশের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের অদূরদর্শিতাকে দায়ী করে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও। প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) পদত্যাগ চেয়ে #ResignModi ট্রেন্ড করতে শুরু করে টুইটার এবং ফেসবুকে। এমনই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কয়েক হাজার পোস্ট এবার আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ফেসবুকের(Facebook) বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় সরকারের(central government) নির্দেশ মেনে ফেসবুক এমন পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও ভুলবশত ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল বলে বার্তা দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, মোদির পদত্যাগ দাবি করে বুধবার সকাল থেকেই টুইটার ও ফেসবুকে রীতিমতো ট্রেন্ড করতে শুরু করেছিল #ResignModi। বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে ট্রেন্ডিংয়ে ছিল এই হ্যাশট্যাগ। কিন্তু বুধবার বেশ কিছুক্ষণের জন্য এই হ্যাশট্যাগ বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। #ResignModi দিয়ে কিছু লেখা পোস্ট করতে গেলেই সেটি ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে বলে বার্তা ভেসে ওঠে। শুধু তাই নয়, ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া সমস্ত পোস্টও সরিয়ে নেওয়া হয়। বলা হয়, ওই হ্যাশট্যাগ ফেসবুকের নীতির পরিপন্থী। তার জেরে বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য ওই হ্যাশট্যাগ দেওয়া কোনও লেখা পড়া যাচ্ছিল না। তবে ভারতে পড়া না গেলেওআমেরিকা-ব্রিটেনের সহ অন্যান্য দেশগুলিতে কোনও সমস্যা হয়নি। এর পর ফেসবুকের বিরুদ্ধে সরব হন ভারতের নেটিজেনরা। অভিযোগ তোলা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মানুষের বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। দাবি ওঠে ফেসবুক বয়কটের। বয়কটের দাবি ওঠার অবশ্য ঘন্টা তিনেক পরই ফের এই হ্যাশট্যাগের ব্লক খুলে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট

পাশাপাশি অনিচ্ছাকৃত এ ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন। তিনি বলেন, “ভুলবশত সাময়িক ভাবে ওই হ্যাশট্যাগ আটকে দেওয়া হয়েছিল। তবে তা ভারত সরকারের তরফে নির্দেশ এসেছিল বলে নয়। সেটি আবার চালু করে দিয়েছি আমরা।”। তবে ফেসবুকের এই দাবি ধোপে টিকছে না। তার অন্যতম কারণ করোনা পরিস্থিতিতে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মোদি সরকারের সমালোচনায় করা কোনও পোস্ট ফেসবুক থেকে ব্লক করে দেওয়ার ঘটনা ঘটলো। উল্লেখ্য, এর আগে কৃষক আন্দোলন এবং কোভিড সঙ্কট নিয়ে প্রকাশ্যে সরকারের সমালোচনা করায় মোছা হয়েছিল সাংসদ-বিধায়কদের টুইট। যা নিয়ে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। অভিযোগ ওঠে, ঘৃণা ভাষণ ছড়ানো হোক বা বিদ্বেষমূলক পোস্ট বিজেপি নেতাদের প্রতি বরাবরই ‘সদয়’ ফেসবুক। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও রকম সমালোচনা করলে সেই সমালোচনা থামাতে উঠেপড়ে লাগে সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ।

Related articles

মোটা অঙ্কের বাজেট নিয়ে মিনি নিলামে নামছে কেকেআর, দল পেতে পারেন ঈশ্বরণ

মঙ্গলবার আবুধাবিতে ২০২৬ সালের আইপিএলের মিনি নিলাম(IPL Mini Auction)। ৭৭টি জায়গার জন্য নিলামে উঠবেন ৩৫০ ক্রিকেটার। এই ৩৫০...

বাংলা না কি জ্বলছে! গদি মিডিয়ার অপপ্রচারকে ধুয়ে দিলেন সাধু থেকে আমজনতা

বাংলা না কি জ্বলছে! এখানে খুন-জখমের রাজনীতি চলছে! আক্রান্ত হিন্দু! গদি মিডিয়া এই খবর করতে এসেছিল কলকাতায় আর...

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...
Exit mobile version