উপসর্গহীন ও মৃদু উপসর্গে আইসোলেশনে থাকলে কী করনীয়? গাইডলাইন স্বাস্থ্যমন্ত্রকের

দেশ তথা রাজ্যে ক্রমশ দাপট দেখাতে শুরু করেছে মারণ করোনা ভাইরাস(coronavirus)। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এহেন পরিস্থিতিতে হোম আইসোলেশনে(home isolation) থাকা করোনা আক্রান্তদের সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক(health ministry)। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত এই নির্দেশিকায় একাধিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

দেখে নেওয়া যাক কী রয়েছে নতুন সেই নির্দেশিকায়…

নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী হোম আইসোলেশনে থাকা আক্রান্তকে প্রতিদিন নিয়ম করে কনসাল্টিং চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে হবে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলো না অবনতি সেটা জানাতে হবে চিকিৎসককে। চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে কোমোর্বিডিটির ওষুধ চালিয়ে যেতে হবে আক্রান্তদের। পাশাপাশি আক্রান্তের যদি মৃদু উপসর্গ থাকে যেমন জ্বর নাক দিয়ে জল পড়া, কাশি তাহলে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা হবে তার। এক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি গরম জলে গার্গেল বা উষ্ণ ভাপ দিনে দু’বার নিতে পারেন।

ঘরোয়া টোটকা কিংবা প্যারাসিটামল-৬৫০ খেয়েও জ্বর না কমলে অবশ্যই জানাতে হবে চিকিৎসককে। প্রয়োজনে সেই চিকিৎসক ওষুধ বদলে নাপ্রক্সেন ২৫০ বা সেই যৌগের অন্য কোনও ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারবেন। অথবা দিনে একবার পাঁচদিন ইভারমেক্টিন ২০০ ট্যাবলেট খেতে পারেন আক্রান্ত। তারপরও যদি উপসর্গ থাকে তবে বুদেসোনাইড ৮০০ ইনহ্যাল করতে পারবেন। ৫-৭ দিন দিনে দুই বার ইনহ্যাল করা যাবে। এরপরেও যদি একসপ্তাহের ওপর উপসর্গ থাকে, তাহলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে লো ডোজ ওরাল স্টেরয়েড ব্যবহার করতে পারেন আক্রান্ত। তবে হোম আইসোলেশনে রেমডেসিভির ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মন্ত্রক। একমাত্র কোভিড কেয়ার ইউনিট কিংবা কোভিড হাসপাতাল এই ওষুধ ব্যবহারে ছাড়পত্র আছে।

আরও পড়ুন:করোনা পর্যালোচনায় মন্ত্রীসভার বৈঠক মোদির

এছাড়াও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হোম আইসোলেশন এ থাকাকালীন অক্সিজেনের মাত্রা যদি কমে যায় তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন আক্রান্ত ও তার পরিবার।

Advt

Previous articleকরোনা পর্যালোচনায় মন্ত্রিসভার বৈঠক মোদির
Next articleঅক্সিজেনের সঙ্কট মেটাতে সচিনের ১ কোটির অনুদান