Monday, August 25, 2025

চলুন ফিরে যাই ৫ বছর আগে। ২০১৬ সাল। বিধানসভা ভোট। মূল লড়াই বাম;কংগ্রেস জোটের সঙ্গে শাসক তৃণমূলেট8। প্রচুর অপপ্রচার; কুৎসার পরেও ২১১ আসন নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য বাংলায় ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর গঙ্গার বুক দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। রাজনীতির পালা বদল হয়েছিস। বাম-কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি।

বিশেষ করে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য বিজেপির বিস্তার। দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে হারাতে মোদি-শাহ ছুটে এসেছেন দিল্লি থেকে। কিন্তু নিট ফল জিরো। বাংলা নিজের মেয়েকেই চেয়েছে।

বাংলা দখলের লড়াইয়ে রণনীতি সাজানোর দায়িত্বে ছিলেন খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বিপর্যয়ের পর স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে তাহলে দায়ভার কি মোদী-শাহের? যদিও পার্টি লাইনে হেঁটে এই ফলাফল মোদি-শাহের ব্যর্থতা বলে মানতে চান না দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর যুক্তি, “৩ থেকে ৭৮ আসনে পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। বাংলার রাজনীতিতে এই উত্থান ঐতিহাসিক।”

বিজেপির রাজ্য সভাপতি (West Bengal State BJP President) বলেন,”ব্যর্থতা বলে আমি মনেই করি না। বাংলায় ২৬ গুণ শক্তি বেড়েছে বিজেপির। এমন সাফল্য বাংলার ইতিহাসে কে পেয়েছে? পশ্চিমবঙ্গে কেউ ৫ বছরে ৩ থেকে ৭৮ আসনে পৌঁছতে পারেনি।”

আর এখানেই দিলীপবাবুর প্রলাপ নিয়ে কটাক্ষ করছে তৃণমূল। তাঁদের বক্তব্য, যে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ,দিলীপ ঘোষরা গণনার দু’ঘন্টা আগেও ২০০ বেশি আসন নিয়ে বাংলার মসনদে বসার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে ছিলেন, তারাই কি-না এখন অফিসিয়াল বিরোধী দল হতে পেরে আনন্দ খুঁজছেন! সত্যি, আঙুর ফল টক…!

Related articles

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...
Exit mobile version